সাংবাদিক হত্যার দায়

সাংবাদিকদের বলা হয় ‘জাতির বিবেক’। সাংবাদিকদের ভূমিকা আমাদের সমাজে কতটুকু তা আমরা অনুভব করি। একজন সাংবাদিক সারা দিন অকান্ত পরিশ্রম এবং বিভিন্ন স্থানে ঘুরে সংবাদ সংগ্রহ করে তা জনগণকে পৌঁছানোর জন্য কাজ করেন। কোনো সাংবাদিকই তার নিজের স্বার্থের জন্য কাজ করেন না। তারা সাধারণ মানুষের জন্যই কাজ করেন। কোনো ব্যক্তি স্বার্থ ছাড়া কাজ করে তবু কেন তারা বারবার শিকার হবেন হয়রানির? মিথ্যা মামলা-হামলাসহ শিকার হতে হবে এমন কি হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার!
অপরাধ করে অপরাধীরা; আর তা গণমাধ্যমে তুলে ধরলে সব ােভ সাংবাদিকদের ওপর কেন? সম্প্রতি এর বাস্তব প্রমাণ হচ্ছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে ছাত্র আন্দোলন। মতাবান ব্যক্তিরা তাদের মতার অপব্যবহারে সব সত্যকে ধামাচাপা দিয়ে নিজের ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর স্বার্থকে খুব সহজে অর্জন করে থাকেন। সেখানে হত্যাকাণ্ডও তেমন বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। যখন আমরা সাধারণ মান্ষু কোনো দুর্ঘটনা বা দুর্বৃত্তের হাতে নিহত ব্যক্তির লাশ দেখি, তখন স্বাভাবিকভাবেই মুখ থেকে বেরিয়ে আসে ‘বিচার চাই’। কিন্তু আমরা কি একবারও ভেবেছি, এ পর্যন্ত কয়টি অন্যায়ের বিচার পেয়েছি। বিশেষ করে সাংবাদিক নির্যাতন বা হত্যার েেত্র এটি বেশি ল করা যায়। সাংবাদিক হত্যা বন্ধ হয় না; কিন্তু এর দায় কেউই নিতে চায় না। বিশেষত যারা হলুদ সাংবাদিকতাকে বর্জন করে সত্যিকার সাংবাদিকতা করে থাকেন, তাদের নিরাপত্তা দেবে কে?
কয়েকদিন আগে পাবনার সাংবাদিক সুবর্ণা নদীকে হত্যা করা হয়েছে এবং এর প্রতিবাদও জানানো হয়েছে। গণমাধ্যমে অনেকেই খুনির বিচার দাবি করেছেন। যদি সব অপরাধ চলতে থাকে তবে সাংবাদিক হত্যার পর বিচার দাবি করা হবে নিষ্ফল। তদন্ত কমিটি গঠন করে বিচারের আশ্বাস লোকদেখানো অভিনয় হয়ে উঠবে তখন। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য সাংবাদিকের ঐক্য প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা জরুরি।
শামীম শিকদার, ভাকোয়াদী, কাপাসিয়া, গাজীপুর