২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

রাজধানীসহ সারা দেশে ইসলামী দলের বিক্ষোভ সমাবেশ ভারতে মুসলিম গণহত্যা বন্ধ ও মোদির সফর বাতিল করতে হবে

ভারতের দিল্লিতে মুসলিম হত্যার প্রতিবাদে বায়তুল মোকাররমে বিক্ষোভ হনয়া দিগন্ত -

ভারতের দিল্লিতে মুসলিম গণহত্যা, মসজিদ-মাদরাসা ধ্বংস ও মুসলমানদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে ঢাকায় সমমনা ইসলামী দলগুলোর বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিল-পূর্ব সমাবেশে বক্তারা বলেন, অবিলম্বে দিল্লিতে চলমান মুসলিম গণহত্যা বন্ধ করতে হবে। তারা বলেন, বাংলাদেশে মুজিববর্ষের কর্মসূচিতে সাম্প্রদায়িক নরেন্দ্র মোদির আগমন বন্ধ করতে হবে। তা না হলে প্রয়োজনে পুনরায় রাজপথে নেমে এর প্রতিবাদ জানানো হবে। বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ভারতে নতুন নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জি তৈরির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়ের উপর উগ্রবাদী হিন্দুরা নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছ। ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বেশ কয়েক দিন ধরে বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চললেও দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজ্য সরকার; কেউ-ই তা থামাতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
তারা অভিযোগ করেন, দিল্লিতে একের পর মসজিদে হামলা চলছে। সেখানে মসজিদের মিনারগুলোতে হিন্দুধর্মীয় প্রতীক স্থাপন করা হচ্ছে। যা মুসলমানদের ঈমান-বিশ্বাস-অনুভূতির প্রতি চরম অবমাননাকর। মুসলিম বিশ্ব নীরবে এটা সহ্য করতে পারে না।
গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তরে গেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবশে বক্তব্য রাখেনÑ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মহাসচিব অ্যাডভোকেট কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব ড. মোস্তফা তারিকুল হাসান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা আবদুল করিম, খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মুনির হোসাইন কাসেমী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদিস মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, খেলাফত মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুহাম্মদ ফয়সল, এনডিপির চেয়ারম্যান কারি আবু তাহের, মাওলানা আবু তাহের জিহাদী প্রমুখ।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, ভারতের মুসলমানদের বিরুদ্ধে নির্মম হত্যাকাণ্ড চললেও বাংলাদেশের সরকারসহ বিশ্ব সমাজ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বাংলাদেশ সরকার এই গণহত্যার জন্য প্রধানতম দায়ী ব্যক্তি নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ মোদির সফর কোনোভাবেই বরদাশত করবে না। দেশের শান্তি শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে এবং ভারত সরককরের মুসলিমবিদ্বেষী অপতৎপরতার প্রতিবাদ জানাতে জালেম নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর সরকারকে বাতিল করতে হবে। কারণ দেশের শান্তিকামী মানুষ গুজরাটের ‘কসাইখ্যাত’ দিল্লি গণহত্যার খলনায়ক নরেন্দ্র মোদিকে বাংলাদেশের মাটিতে কোনোক্রমেই সহ্য করবে না।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, ভারতে চলমান মুসলিম গণহত্যা বন্ধে জাতিসঙ্ঘ, ওআইসিসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে। ভারতের এ হত্যাকাণ্ডকে সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে চালিয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এ হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের একটা নৈতিক, ধর্মীয় ও সাংবিধানিক দায়িত্ব রয়েছে। আর বাংলাদেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদিকে কোনভাবেই স্বাগত জানাবে না। নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর অবশ্যই বাতিল করতে হবে। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে ভারতীয় গণহত্যার বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি শায়খুল হাদিস মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ নরেন্দ্র মোদির সফর কোনোভাবেই মেনে নেবে না। জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও যদি মোদি বাংলাদেশে আসতে চায়, তবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিমান বন্দর পর্যন্ত কোটি লোকের সমাবেশের মাধ্যমে মোদিকে কালো পতাকা দিয়ে স্বাগত জানানো হবে।
মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, ভারতের মুসলিম গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ভারতে মুসলিম গণগত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় তুলতে হবে। ভারতকে মুসলিম নিধন বন্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। বাংলাদেশের জনগণ রাজপথে নেমেছে রাজপথে থাকবে।
আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত : গতকাল সকালে অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম আশরাফীর সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভারতে মোদির নির্দেশনায় মুসলমান হত্যা ও মসজিদে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। মোদিকে বাংলাদেশে মুজিববর্ষে স্বাগত জানানো মানে মুসলমানের রক্তের সাথে বেঈমানী করা। এতে বক্তব্য রাখেন, নির্বাহী মহাসচিব আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মুজাফ্ফর আহমদ মুজাদ্দেদী, যুগ্ম মহাসচিব কাজী মুবারক হোসাইন ফরায়েজী, অর্থসচিব অ্যাডভোকেট শাহজাদা মুখতার আহমদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ধর্মনিরপেক্ষ ভারতকে উগ্র সাম্প্রদায়িক ভারতে রূপান্তর করেছে। সুতরাং এ ধরনের উগ্র সাম্প্রদায়িক প্রধানমন্ত্রীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশ বাংলাদেশে অতিথির বেশে প্রবেশ করানোর পরিকল্পনা ছাত্রজনতা রুখে দেবে। তিনি আরো বলেন, ইসলাম সন্ত্রাসবাদে বিশ্বাস করে না। ইসলাম সব সময় শান্তি ও শৃঙ্খলার কথা বলে। গতকাল চরমোনাই মাহফিলের তৃতীয় দিনে ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলন আয়োজিত ছাত্র গণজমায়েতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। গণজমায়েতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল জলিল। বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আলামা নূরুল হুদা ফয়েজী, নায়েবে আমির আলামা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ প্রমুখ।
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায় সম্মিলিত ওলামা পরিষদ চট্টগ্রামের উদ্যোগে গতকাল বাদ জুমা জমিয়তুল ফালাহ জামে মসজিদ উত্তর গেটে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অধ্যক্ষ মাওলানা মিয়া মুহাম্মদ হোসাইন শরীফের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন, মাওলানা এম এ মনছুর আল কাদেরী, মাওলানা এম এ হান্নান আনছারী, মাওলানা রফিকুল্লাহ প্রমুখ। সমাবেশে বলেন, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনটি এখন সাম্প্রদায়িকতায় রূপ নিয়েছে। নির্বিচারে মুসলিম হত্যা এবং মসজিদ ও মুসলমানদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন প্রত্যাহার করে শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে এক বিক্ষোভ মিছিল বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কাজীর দেউরী মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
খুলনা ব্যুরো জানায়, ভারতের রাজধানী দিল্লিসহ বিভিন্ন রাজ্যে মুসলমানদের ওপর হামলা, নির্যাতন ও হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় ইমাম পরিষদের ডাকে গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ সালেহ। সমাবেশে বক্তরা বলেন, ভারতকে মুসলমানরাই স্বাধীন করেছে। আর আজকে সেই মুসলমানদের সাথে মোদি সরকার নিপীড়ন নির্যাতনমূলক আচরণ করছে। অথচ তারা নিজেরাই ছিলেন ইংরেজদের দালাল। সেই দালাল গোষ্ঠীই নিরীহ মুসলমানদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালাচ্ছে। সমাবেশ শেষে নগরীতে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
সিলেট ব্যুরো জানায়, ভারতে মসজিদ-মিনারে অগ্নিসংযোগ ও মুসলিম নিপীড়নের প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার সিলেটে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। বাদ জুমা নগরীতে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। জুমার নামাজ শেষে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। কোর্ট পয়েন্ট এবং সিটি পয়েন্টে একাধিক সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়। আনজুমানে তালামীযে ইসলামিয়ার উদ্যোগে নগরীর সোবহানীঘাট ডিওয়াই আলীয়া মাদরাসা থেকে বিরাট মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি সিটি পয়েন্ট, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার ঘুরে চৌহাট্টায় গিয়ে শেষ হয়। জমিয়তে ওলামায়ে বাংলাদেশ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে বাদ জুমা বন্দরবাজার দলীয় অফিসের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সিটি পয়েন্টে গিয়ে পথসভায় মিলিত হয়।
ইউএনবি জানায়, নেত্রকোনায় শুক্রবার বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে খেলাফত যুব আন্দোলন। বাদ জুমা শহরের বড়বাজারে দিল্লিতে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও হত্যা বন্ধের দাবি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন খেলাফত আন্দোলনের জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কুশ পুত্তলিকা দাহ করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) সংবাদদাতা জানান, ভারতের দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর হামলা ও বাংলাদেশে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের প্রতিবাদে সিদ্ধিরগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল জুমা নামাজের পর আন্তর্জাতিক মজলিসে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়াত বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার উদ্যোগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন হেফাজত নেতা মুফতি বশির উল্লাহ, মাওলানা খালেদ আহাম্মেদ প্রমুখ।
গাজীপুর সংবাদদাতা জানান, বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী সাম্প্রদায়িক নেতা নরেন্দ্র মোদিকে আসতে দেয়া হবে না। ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় মুসলিম হত্যা, মসজিদে হামলা ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে গাজীপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার বাদ জুমা নগরের ভোগরা বাইপাস এলাকায় ওলামা পরিষদ গাজীপুর এই প্রতিবাদ মিছিল এবং বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে। ওলামা পরিষদ গাজীপুরের আহ্বায়ক মুফতি লেহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।
পটুয়াখালী সংবাদদাতা জানান, পটুয়াখালীর বাউফলে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কয়েক হাজার মানুষ। গতকাল শুক্রবার বাদ জুমা বাউফল পৌরসভার শাহী জামে মসজিদের সামনের সড়ক থেকে মিছিলটি বের হয়ে পৌরসভার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে উপজেলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশ করে। শাহী জামে মসজিদের খতিব ও ঈমাম আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন কামরুজ্জামান বাচ্চু, আসাদুজ্জামান সোহাগ, হাফেজ আল আমিন প্রমুখ। বক্তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেন। তারা নরেন্দ্র মোদিকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি না করতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
ফরিদপুর সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরে গতকাল জুমা নামাজের পর শহরের চকবাজার জামে মসজিদ থেকে সম্মিলিত উলামা-মাশায়েখ পরিষদ ফরিদপুর জেলা শাখার ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। এরপর জনতা ব্যাংকের মোড় হয়ে মুজিব সড়ক দিয়ে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সমাবেশে বক্তব্য দেন বাকিগঞ্জ ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মাওলানা মামুনুর রশীদ, মাওলানা মোজাফফর হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, মসজিদে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সারা বিশে^র মুসলমানসহ সব শান্তিকামী মানুষের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে।
নীলফামারী সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীতে জুমার নামাজ শেষে মুসুল্লিরা শহরের স্মৃতি অম্লান পাদদেশে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে। শহরের বড় মসজিদের ইমাম আশরাফুল হক নূরীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, সামছুল আরেফীন, রফিকুল ইসলাম, মোকারোম হোসেন সাঈদি, হাবিবুল্লাহ বেলালী প্রমুখ। শেষে সেখানকার মুসলমানদের হেফাজতের জন্য দোয়া করা হয়।
ময়মনসিংহ অফিস জানায়, দিল্লির মসজিদে উগ্র হিন্দুত্ববাদী জঙ্গিগোষ্ঠীর অগ্নিসংযোগ, মুসলমানদের বাড়িঘরে হামলা ও নির্বিচারে মুসলিম গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইত্তেফাকুল ওলামা বৃহত্তর মোমেনশাহী।
গতকাল বাদ জুমা শহরের বড় মসজিদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার ট্রাফিক মোড়ে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও দোয়ার মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ সাদী, মাওলানা যাকারিয়া, মাওলানা আমীর আহমেদ, মাওলানা শরীফুল রহমান, মাওলানা জাকির হোসেন, মাওলানা নাসির চৌধুরী, মাওলানা আ: আল মামুন, মাওলানা ইসমাঈল ইবরাহীম, মুফতি গোলাম মাওলা ভূঁইয়া প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement