২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাদক নির্মূলের প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের

২৮ নম্বর ওয়ার্ড
-

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২৮ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার অলিগলিতে গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিল কেনাবেচা হয় সবসময়। ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল ও প্যাথেডিন গ্রাস করছে ওয়ার্ডটিকে। কিছু অসাধু প্রভাবশালী নেতা পুলিশকে ম্যানেজ করে এসব অপকর্ম করে আসছে। নির্বাচনী প্রচারণায় এ মাদক নির্মূলের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
ঢাকা দক্ষিণ সিটির ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে রাজনৈতিক দলাদলির কোনো স্থান নেই। পঞ্চায়েতের নির্দেশনায় চলছে এলাকার সব বিচার। পঞ্চায়েতের নির্দেশনা না মানলে তাকে পুলিশে সোপর্দ ছাড়াও পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকেও শাস্তি দেয়া হয়। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত কমিটি অনেক শক্তিশালী। খাজা দেওয়ান প্রথম লেন, খাজা দেওয়ান দ্বিতীয় লেন, খাজা দেওয়ান তৃতীয় লেন, খাজা দলসিং লেন, হরনাথ ঘোষ লেন, উর্দু রোড, গৌর সুন্দর রায় লেন, চকবাজার, চুড়িহাট্টা, নন্দন কুমার দত্ত রোড, হায়দার বক্স লেন, আজগর লেন, হরনাথ ঘোষ রোড, দ্বীন মোহাম্মদ রোড, চাঁদনী ঘাট উত্তর অংশ ও চক সার্কুলার রোড এলাকা নিয়ে গঠিত এ ওয়ার্ড।
এ ওয়ার্ডে বিএনপির প্রভাব বেশি। সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ার পারভেজ কয়েকবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। এবারো ঠেলাগাড়ি মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সালে পেয়েছেন কাঁটা চামচ মার্কা, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল উদ্দিন কাবুল মিষ্টি কুমড়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল্লাহ মহসিন সুমন পেয়েছেন ব্যাডমিন্টন র্যাকেট প্রতীক। ১৮ হাজার ভোটারের এ ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে প্রার্থীরা সবাই গণসংযোগে মরিয়া। নির্বাচনের বাকি আছে আর মাত্র তিন দিন। তবে কেউ কাউকে কোনো ধরনের বাধা সৃষ্টি করছে না। কোনো ধরনের হয়রানির খবরও শোনা যায়নি।
বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আনোয়ার পারভেজ বাদল এ প্রবেদককে বলেন, বেশ কয়েকবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়ে। গত নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছি। এবারো যদি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হয়, তাহলে বহু ভোটের ব্যবধানে পাস করব। এলাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। তার মধ্যে জলাবদ্ধতা ও ড্রেনেজ সমস্যা নিরসন, সুপেয় পানি, বাইপাস রাস্তা, মসজিদ নির্মাণ, প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, আরবান হেলথ কেয়ার স্যাটেলাইট হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, শিশু হাসপাতাল নির্মাণসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। তিনি দাবি করেন, তার এসব কাজের কারণে এলাকার মানুষের কাছে বেশি প্রিয় তিনি। এ জন্যই বারবার ভোট দিয়ে নির্বাচিত করছেন তাকে। এবার নির্বাচিত হলে মাদকের শিকড় উপড়ে ফেলা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ নেতা ও কাউন্সিলর প্রার্থী কামাল উদ্দিন কাবুল বলেন, আমি এ ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ছিলাম। সে সময়ে ওয়ার্ডের ব্যাপক উন্নয়ন হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, রাস্তাঘাট, পানির লাইন ও ড্রেনেজ ছাড়াও বহু সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে নিয়মিত সহযোগিতা করে আসছি। এবার নির্বাচিত হলে মাদক কারবারিদের এলাকা ছাড়া করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement