২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মডেল ওয়ার্ড গড়ার স্বপ্ন কাউন্সিলর প্রার্থীদের

-

একটি আধুনিক ও মডেল ওয়ার্ড গড়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তেও ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত অবধি অলিগলিতে ঘুরছেন ভোটারদের সমর্থন পাওয়ার প্রত্যাশা নিয়ে। প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। স্বস্তির ভোটে শঙ্কাও আছে প্রার্থীদের।
জানা গেছে, গাবতলী জমিদার বাড়ি (হাছনাবাদ), গাবতলী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলোনি, গৈদারটেক ও দারুস সালাম নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১০ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫৭ হাজার দুইটি এবং কেন্দ্র রয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে গাবতলী দ্বিতীয় ও তৃতীয় কলোনি, শাহ আলী মডেল হাইস্কুল, দারুস সালাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (মহিলা কেন্দ্র), গাবতলী জমিদার বাড়ি স্কুল, সপ্তর্ষী কিন্ডারগার্টেন, আর সি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দারুস সালাম সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, এফএম স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও প্রিয়াঙ্গন আবাসিক এলাকা কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছে এলাকাবাসী।
এই ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আবু তাহের। তিনি আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাহের দারুস সালাম থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, দীর্ঘ দিন এলাকাবাসীর সেবা করেছি। অনেক কাজ অসমাপ্ত রয়ে গেছে, অনেক উন্নয়নমূলক কাজ অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। এলাকাবাসী আমাকে আবারো সুযোগ দিলে অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে ১০ নম্বর ওয়ার্ডকে একটি আধুনিক উন্নত ও মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
তবে আবু তাহেরের কাছ থেকে ওয়ার্ডটি পুনরুদ্ধার করে পুনরায় এলাকাবাসীর সেবা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী হাজী মো: মাসুদ খান। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সহসভাপতি পদে রয়েছেন। ২০০২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন মাসুদ খান। তিনি নয়া দিগন্তকে বলেন, ১০ বছর ওয়ার্ডের কমিশনার থাকাকালে এ এলাকার কাঁচা রাস্তা পাকাকরণ, সুয়ারেজ লাইন স্থাপন, গ্যাস লাইন স্থাপন, মাতৃসদন কেন্দ্র স্থাপন, অবহেলিত ঝাড়–দারদের বাসস্থানের ব্যবস্থাসহ নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেছি। ওই সময় নির্বাচিত হয়েই মাত্র ছয় মাসের মাথায় জলাবদ্ধতা নিরসন করেছি। এই এলাকায় এখন কোনো জলাবদ্ধতা নেই। ওই সময় একজন কমিশনার হিসেবে এলাকার ৮০ শতাংশ উন্নয়নমূলক কাজ এলাকার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সফলভাবে সম্পন্ন করতে পেরেছি। আমি নির্বাচিত হলে যুবকদের জন্য লালকুঠি এলাকায় খেলার মাঠ ও আরো কিছু রাস্তাঘাট নির্মাণসহ দলমত নির্বিশেষে সকলের সমন্বয়ে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে গড়ে তুলব। হাজী মো: মাসুদ খান বলেন, নানা হুমকি ধামকির মধ্যে আমাদের নেতাকর্মীরা কাজ করছেন। যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় তাহলে এলাকার মানুষ আমাকে বিপুল ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত করবেন। আর সুষ্ঠু ভোট নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর ওপর। প্রধানমন্ত্রীর যদি সদিচ্ছা থাকে তাহলে পৃথিবীর কেউ আটকাতে পারবে না, আর প্রধানমন্ত্রীর যদি সুষ্ঠু ভোট না করার ইচ্ছা থাকে তাহলে কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।

 


আরো সংবাদ



premium cement