০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কুমিল্লায় পরাস্ত রংপুর

-

গুছিয়ে উঠতে পারেনি রংপুর! প্রথম ম্যাচ বলেই সম্ভবত এমনটা। নতুবা একেবারে অতবড় পরাজয়বরণ করবে, এমন দল গড়েনি তারা। কুমিল্লার বিপক্ষে দাঁড়াতেই পারেনি। পরাজয়ের ব্যবধান ১০৫। চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় ওই হার তাদের। দলটির যে ব্যাটিং লাইন। তাতে অন্তত ৬৮ রানে গুটিয়ে যাবার দল না। আসলে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার বড্ড অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। প্রথম ব্যাটিং করতে নেমে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স নিজেদের খেলাটাই খেলেছে। সাত উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করেছিল তারা ১৭৩ রান। মিরপুর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রাতের ম্যাচে এ স্কোর মন্দ নয়। তবে ভালো ব্যাটিং করতে পারলে এটা টপকে যাওয়া সম্ভবও ছিল।
রংপুর তো ব্যাটিংটাই করতে পারেনি। কুমিল্লার অধিনায়ক লঙ্কান ব্যাটসম্যান দাসুন সানাকা দুর্দান্ত খেলেন। ৩১ বলে ৭৫ রানের এক ইনিংস খেলে দলকে মুহূর্তে যেন নিয়ে যান ওই লক্ষ্যে। ১৩.৫ ওভারে তারা হারিয়েছিল ৬ উইকেট। রান ৮৯। সে দলটাকে ওই পর্যায় নিয়ে যান শানাকা, আবু হায়দার রনিকে নিয়ে। ৮৯ থেকে ১২৪ এ গিয়ে বিচ্ছিন্ন হন তারা। বাকি সময় যেন একাই খেলেন লঙ্কান ওই ব্যাটসম্যান। ২৩ বলে ৫০ করে ওই রান করে অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে। তার ইনিংসে ছক্কা ৯টি, এ ছাড়া চার হাঁকিয়েছেন ৩। এর আগে সৌম্য ২৬ ও মালান করেছিলেন ২৫ রান। জুনায়েদ খান, মুস্তাফিজ ও লুইস নেন দু’টি করে উইকেট।
এরপর ১৭৪ রানের লক্ষ্য সামনে রেখে খেলতে নেমে রংপুর রেঞ্জার্স ১৫ রানে হারায় শাহজাদকে। মূলত এই শুরু। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যান নিজেদের আর ধরে রাখতে পারেনি ক্রিজে। তিন ব্যাটসম্যান ডাবল ফিগারে গিয়েছিলেন। তারা হলেনÑ শাহজাদ, মোহাম্মাদ নাইম ও মোহাম্মাদ নবি। ১৪ ওভার খেলে ৬৮ এ অলআউট তারা। আল আমিন ও সৌম্য সরকারের নিখুঁত বোলিংয়ের সামনে সব শেষ দলটির। আল আমিন নেন তিন উইকেট। আর সৌম্য দু’টি। দাসুন শানাকা ম্যান অব দ্য ম্যাচের জন্য নির্বাচিত হন।


আরো সংবাদ



premium cement