কোটিলা মুড়া হচ্ছে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাস এলাকার একটি প্রতœতাত্ত্বিক নির্দশন। ঢাকা-কুমিল্লা মহাসড়ক থেকে প্রায় দুই মাইল দক্ষিণে এবং শালবন বিহার থেকে প্রায় তিন মাইল উত্তরে এর অবস্থান। লালমাই পাহাড়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনাগুলোর মধ্যে কোটিলা মুড়া অন্যতম। এ স্থানের মাটি খনন করার পর এখানে তিনটি স্তূপ আবিষ্কৃত হয়। ধারণা করা হয়, এ তিনটি স্তূপ বৌদ্ধ দর্শনের ত্রিরতœÑ বুদ্ধ, ধর্ম ও সঙ্ঘের প্রতীক।
এটির অবস্থান বর্তমান কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। দর্শনার্থীদের জন্য স্থাপনাটি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকে।
আব্বাসীয় খলিফা মুতাসিম বিল্লাহর (১২৮২-১২৫৮) শাসনামলের একটি অন্যতম নিদর্শন কোটিলা মুড়া। স্থাপনাটির নির্মাণকাল ছিল সাত শতক থেকে তেরো শতক পর্যন্ত।
চার কোনা ভিত্তির ওপর নির্মিত হয়েছিল গোলাকার গম্বুজ। এই গম্বুজের ওপর আছে হার্মিক ও চূড়া। কেন্দ্রীয় স্তূপের মাঝে একটি গোলাকৃতি কক্ষ আছে। এই কক্ষের চার পাশে পোড়া ইটের তৈরি ছোট ছোট আটটি কক্ষ তৈরি করা হয়েছিল। ইটের তৈরি অন্য স্তূপের মাঝে একটি গর্ত আবিষ্কৃত হয়েছে, যার মধ্য থেকে মাটির তৈরি সিল ও স্বর্ণমুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়াও এখানে সাত-আট শতকের দু’টি পাথরের মূর্তি, প্রচুর অদগ্ধ সিলমোহর ও নিবেদন স্তূপ পাওয়া গেছে, যেগুলো শালবন বৌদ্ধ বিহার জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা