০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বাবরি মসজিদ নিয়ে রায় মুসলিম উম্মাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয় : মকবুল আহমাদ

-

বাবরি মসজিদসংক্রান্ত ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির মকবুল আহমাদ গতকাল সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, ওই মামলার রায়ে আমরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। এ রায় ভারতের মুসলমানসহ মুসলিম উম্মাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
ভারতের একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী জাতিসঙ্ঘ ঘোষিত ধর্মীয় ও মানবাধিকার সনদ এবং ভারতীয় আইন লঙ্ঘন করে রাজনৈতিক শক্তির জোরে ৪৬০ বছরের পুরনো বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়ে মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত প্রকারান্তরে ওই সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর অন্যায় কাজকেই বৈধতা দিলো। এতে মুসলিম উম্মাহ মর্মাহত ও উদ্বিগ্ন। বাবরি মসজিদের জায়গা রামমন্দির নির্মাণের জন্য ছেড়ে দিয়ে অন্য কোথাও মসজিদের জন্য পাঁচ একর জমিদানের যে কথা রায়ে বলা হয়েছে তা মুসলমানদের প্রতি চরম উপহাসের শামিল। এতে ভারতের মুসলিম সমাজকে তাদের ধর্মীয় ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে।
এছাড়া সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ‘বাবরি মসজিদের স্থানে পূর্বে মন্দির ছিল’ মর্মে যে দাবি করছে তা সম্পূর্ণ অসত্য ও বিভ্রান্তিকর। ওই স্থানে খনন কাজ করেও মন্দিরের কোনো চিহ্ন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। ভারতীয় প্রতœতত্ত্ববিদরাও মন্দিরের কোনো নিদর্শন আবিষ্কার করতে পারেনি। সুপ্রিম কোর্ট নিজেও মেনে নিয়েছে যে, পুরাতাত্ত্বিক রিপোর্টে কোনোভাবেই প্রমাণ হচ্ছে না যে, একটা মন্দিরকে ভেঙে ওখানে মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। এ থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, বাবরি মসজিদের স্থানে মন্দির নির্মাণের দাবি সম্পূর্ণ অন্যায় ও অযৌক্তিক এবং ন্যায়নীতির পরিপন্থী।
ভারতের একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিসহ একাধিক বিচারপতি ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত তাদের বক্তব্যে বলেছেন যে, ‘ইতিহাস পুনর্নির্মাণ করা আদালতের কাজ নয়। আদালত সিদ্ধান্তে পৌঁছায় অকাট্য প্রমাণ এবং প্রামাণ্য নথিপত্রের ভিত্তিতে। বাবরি মসজিদ যেখানে ছিল, সেই জমিতে মন্দির তৈরির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্ট কোনো অকাট্য প্রমাণ ও প্রামাণ্য নথির ভিত্তিতে দেয়নি। এই রায় আইন ও সংবিধানের ভিত্তিতে দেয়া হয়নি।’
ভারতীয় বিচারপতিদের বক্তব্যে প্রমাণিত হয়েছে যে, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে এ রায় প্রদান করেছে। এ রায় শুধু ভারত নয়, সারা বিশে^র বিচার বিভাগের ইতিহাসে একটি ন্যায়ভ্রষ্ট রায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে।
আমরা আশা করি ভারত সরকার জাতিসংঙ্ঘ কর্তৃক ঘোষিত ধর্মীয় ও মানবাধিকার সনদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বাবরি মসজিদের স্থানে সরকারি দায়িত্বে মসজিদ নির্মাণ করার ব্যবস্থা করে মুসলমানদের ধর্মীয় ন্যায্য অধিকারের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করবেন। বিজ্ঞপ্তি।

 


আরো সংবাদ



premium cement
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নয়, মা গলা টিপে হত্যা করেন শিশু মাইশাকে গরমে ঢাকার হাসপাতালে রোগীর অতিরিক্ত চাপ, শিশু ওয়ার্ডে আসন সঙ্কট প্রকট এ জে মোহাম্মদ আলীর রূহের মাহফিরাত কামনায় সুপ্রিম কোর্টে দোয়া চৌগাছায় দুর্বৃত্তের আগুনে পুড়ল কৃষকের ১ বিঘা জমির পানের বরজ সেলফি তুলতে চাওয়ায় ভক্তের ওপর চটেছেন সাকিব, চেপে ধরলেন ঘাড় টিভি চ্যানেলের অবৈধ সম্প্রচার বন্ধে কার্যক্রম শুরু যেখানে অবৈধ পাথর খনির মিহি গুঁড়াতে ভরে ওঠে ফুসফুস শিবপুরে গৃহবধূর আত্মহত্যা : স্বজনদের দাবি হত্যা, স্বামী আটক সিদ্ধিরগঞ্জে হেলে পড়েছে ৬ তলা ভবন, আতঙ্ক জাতিসঙ্ঘ ত্রাণ সংস্থার প্রধানকে দ্বিতীয়বারের মতো গাজায় প্রবেশে বাধা দিলো ইসরাইল টানা তাপপ্রবাহের পর চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি

সকল