০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫
`


মিরপুরের চলন্তিকা বস্তি পুড়ে ছাই

-

ফায়ার সার্ভিসের ২০টি ইউনিটের সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় ঢাকার মিরপুরের বস্তির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে তার আগে ওই বস্তির দুই হাজারের বেশি ঘরের প্রায় সবগুলোই পুড়ে গেছে বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় মিরপুর-৭ নম্বরে রূপনগর থানার পেছনে চলন্তিকা বস্তিতে আগুন লাগে। চলন্তিকা মোড় থেকে রূপনগর আবাসিক এলাকা পর্যন্ত ঝিলের ওপর কাঠের পাটাতন দিয়ে ছোট ছোট ঘর বানিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল বস্তিটি। বিডি নিউজ।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা এরশাদ হোসেন জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। আগুনের ব্যাপকতা দেখে পরে আরো ইউনিট বাড়ানো হয়। শেষ পর্যন্ত ২০টি ইউনিট কাজ করে রাত সাড়ে ১০টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিদর্শক গোলাম রাব্বানী বলেন, বস্তিতে দুই থেকে আড়াই হাজার ঘর ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় দুইজন আহত হয়েছেন বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে। তবে তারা আগুনে দগ্ধ হয়েছেন না কি অন্য কোনোভাবে আহত হয়েছেন তা জানা যায়নি।
এই বস্তিতে হাজারখানেক পরিবারের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করতেন বলে এলাকাবাসীর ধারণা। তবে বাসিন্দার সংখ্যা সম্পর্কে কোনো ধারণা দিতে পারেননি কর্মকর্তারা।
একজন বস্তিবাসী জানান, সন্ধ্যার পর বস্তির মাঝামাঝি এলাকা থেকে আগুনের সূত্রপাত। প্রথম দিকেই আগুনে তার ঘরটি পুড়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে একজন জানান, ঈদের ছুটি থাকার কারণে বস্তির অনেক বাসিন্দা গ্রামের বাড়িতে অবস্থান করছেন বলে কয়েকজন তাকে জানিয়েছেন।
‘অধিকাংশ ঘর তালাবন্ধ থাকায় আগুনে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আসবাবপত্র রক্ষার তৎপরতাও দেখা যায়নি।’
আগুন ছড়িয়ে বস্তির পশ্চিম পাশের একটি মসজিদ ভবনে লাগে। আল আরাবিয়া নামে চারতলা ওই মসজিদ ভবনের নিচতলায় মার্কেট, দ্বিতীয়তলা থেকে মসজিদ। ভবনের নিচতলায় আগুন লেগে কয়েকটি সবজির দোকান পুড়ে যায়।
মসজিদের পাশে একটি বহুতল ভবন, বিজিএমইএর একটি হাসপাতাল এবং কয়েকটি পোশাক কারখানা রয়েছে। আগুন লাগার সাথে সাথেই পোশাক কারখানায় ছুটি দেয়া হয় বলে এলাকাবাসী জানান।
আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো তথ্য দিতে পারেননি। তবে বস্তির কয়েকজন বাসিন্দা বলেছেন, অবৈধ গ্যাস ও বিদ্যুতের সংযোগ নেয়া হয়েছিল বস্তিতে। বিদ্যুৎসংযোগ থেকে আগুন লেগে অরক্ষিত গ্যাসের সংযোগের সংস্পর্শে গিয়ে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বলে তাদের ধারণা।


আরো সংবাদ



premium cement