২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মাতৃমৃত্যুর ১ শতাংশ ঘটছে কমিউনিটি ক্লিনিকে

-

স্বাস্থ্যসেবাকে মানুষের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হলেও এখন এই ক্লিনিকেই মাতৃমৃত্যু হচ্ছে বেশি। কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য এইচএসসি পাস কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) নিয়োগ দেয়া হলেও এখন এদের কেউ কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখে চিকিৎসা দিচ্ছেন কিন্তু নির্দিষ্ট কয়েকটি রোগের বিপরীতে নির্দিষ্ট কয়েকটি ওষুধই তাদের ব্যবহারের কথা ছিল। গবেষণায় উঠে এসেছে, ‘ডেলিভারি করার ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যুর এক শতাংশ ঘটছে এখন কমিউনিটি ক্লিনিকে।’
‘এসডিজি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিক ও সর্বজনীন স্বাস্থ্য’ শীর্ষক সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে আলোচনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। মহাখালীর বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) এ বিষয়ে একটি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এই আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্যবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী। প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদে স্বাস্থ্য উপ-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা: হাবিবে মিল্লাত এমপি। উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অতিরিক্ত সচিব ডা: মো: ইউনুস আলী প্রামাণিক, কমিউনিটি ক্লিনিক সহায়তা ট্রাস্টের গভর্নিং বডির সদস্য বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদ, বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি তৌফিত মারুফ।
আলোচনায় বলা হয়, মাতৃমৃত্যু নিয়ে কমপক্ষে তিনটি রিপোর্ট রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু না কমে বেড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তা প্রকাশ করছে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক হাবিবে মিল্লাত বলেন, সমস্যা লুকিয়ে রেখে সমাধান হবে না। তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়োগ করা সিএইচসিপিরা কিছুতেই ডাক্তার লিখতে পারেন না নামে পাশে। কিন্তু নামের পাশে ডাক্তার লিখে তারা চিকিৎসায় নেমে গেছেন। ডা: হাবিবে মিল্লাত ওষুধ ও চিকিৎসা সম্পর্কে প্যারামেডিকদের জ্ঞান রয়েছে কিন্তু এদের চাকরি দেয়া হচ্ছে না। তিনি ‘২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসুবিধা অর্জন (অ্যাচিভিং ইউনিভার্সাল হেলথ কাভারেজ বাই ২০৩০) শীর্ষক উপস্থাপনায় বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্য বাস্তবায়নে শক্তিশালী রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকতে হবে। বিশ্বব্যাপী সর্বজনীন স্বাস্থ্যসুবিধা গড়ে ৬৪ শতাংশ অর্জিত হলেও বাংলাদেশে মাত্র ৫০ শতাংশ। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৭ শতাংশই নিজের পকেট থেকে মানুষকে করতে হয়। এখানে সরকারি ব্যয় কম।
অধ্যাপক সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী বলেন, কউিনিটি ক্লিনিক বিষয়ক যেকোনো ইতিবাচক সমালোচনা অথবা রিপোর্টিং সাদরে গ্রহণ করা হবে। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, আপনার স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে এবং সর্বজনীন স্বাস্থ্য বাস্তায়নে লিখুন, সমস্যাগুলো তুলে ধরুন। তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকে আরো সিএইচসিপি নিয়োগ দিতে হবে স্বাস্থ্যসেবাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে।


আরো সংবাদ



premium cement