২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

হেলথ টিপস : সর্দি-কাশি সারাবে চকোলেট

-

আবহাওয়ার পরিবর্তনে অনেকেরই কাশি, নাক বন্ধ ও জ্বর হচ্ছে। সাধারণত কাশি হলে তা নিরাময়ের জন্য আমরা কাশির সিরাপ সেবন করি। তবে এবার কাশির জন্য সিরাপ না গিলে চকোলেট খান। কারণ চিকিৎসকদের দাবি, কাশি সারাতে সিরাপের চেয়েও বেশি কার্যকরী চকলেট। গবেষকরা কাশি হলে সিরাপ গ্রহণের চেয়ে এক টুকরো ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব হালের হৃদরোগ ও শ্বাসযন্ত্র বিভাগের প্রধান অ্যালিন মরিস জানান, সর্দি-কাশির যেসব ওষুধ বাজারে পাওয়া যায় তার মধ্যে কিছু ওষুধের অন্যতম বিশেষ উপাদান হলো কোকোয়া। যে ওষুধে কোকোয়া রয়েছে সেগুলো খেলে ঠাণ্ডা ও কাশি থেকে তাড়াতাড়ি রেহাই পাওয়া যায়।
লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের বিজ্ঞানীরাও বলেন, সর্দি-কাশির ওষুধে কোডিনও ব্যবহার করা হয়। যাতে মাথাধরা, কাশি ও কফের সমস্যা দূর হয়। কিন্তু তার চেয়ে দ্রুতগতিতে কাজ দেয় কোকোয়া। গবেষণার জন্য গবেষকদল ১৬৩ জন অংশগ্রহণকারীর উপর পরীক্ষা চালায়। এতে দেখা যায়, যেসব কাশির রোগী চকোলেট মিশ্রিত ওষুধ খেয়েছেন, কাশির সিরাপ সেবন করা রোগীদের চেয়ে তাদের অবস্থা দুই দিনে বেশ উন্নতি হয়েছে।
অবশ্য এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও গবেষকরা চকোলেট খেলে কাশি কমতে পারে এমন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। অধ্যাপক অ্যালিন মরিস বলছেন, চকোলেটে থাকা আঠালো উপাদান গলার স্নায়ুতন্ত্রের উপর একটি আবরণ তৈরি করে ফলে কাশি কম অনুভূত হয়। মধু ও লেবু যেভাবে কাশি উপশমে কাজ করে, চকোলেটও একইভাবে কাজ করে বলে জানান তিনি।
গবেষকরা বলছেন, কোকোয়ার মধ্যে থিওব্রমিন নামের বিশেষ ধরনের অ্যালকালয়েড থাকে যা কাশির মাধ্যমে বারবার কফ ফেলার শারীরিক প্রয়োজন কমিয়ে দেয়।
সাধারণ ওষুধের চেয়ে কোকোয়া বেশি আঠালো হয়। তাই গলার মধ্য তুলনামূলক মোটা আস্তরণ তৈরি করতে সক্ষম হয়। তাতেও কমে যায় কাশি। তাই চকোলেট বা ডার্ক চকোলেটের উপর আস্থা রাখা যায় নিশ্চিন্তে। ইন্টারনেট।


আরো সংবাদ



premium cement