২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

খুলনায় জোড়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে তিন সংস্থা মাঠে

-

খুলনায় জোড়া হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের একদিন পার হলেও কোনো ক্লু বের করতে পারেনি পুলিশ। তবে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ও সিআইডি মাঠে নেমেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং তিন সংস্থার যৌথ তদন্তে ঘটনার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছে পুলিশ। এদিকে একই ঘর থেকে গলায় ফাঁস দেয়া জোড়া লাশ উদ্ধার হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। মৃত্যুর রহস্য এখনো উদঘাটন না হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা পাইকারি কাঁচাবাজারসংলগ্ন সাবেক বিডিআর সদস্য ইদ্রিস আলীর বাসা থেকে মেহেদী হাসান (১৭) ও মো: আক্তার হোসেনের (৪৫) গলায় ফাঁস দেয়া লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে গতকাল শনিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় কোনো মামলা দায়ের করা হয়নি। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটকও করতে পারেনি।
নিহত মেহেদী হাসান খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসংলগ্ন হাসানবাগ এলাকার বাসিন্দা কবির হোসেনের ছেলে এবং মো: আক্তার হোসেন ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলা সদরের মো: শামসুদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। আক্তার হোসেন নগরীর সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালের একটি লেদ কারখানার মিস্ত্রি ছিলেন। দুইজনেই সোনাডাঙ্গা পাইকারি কাঁচাবাজারসংলগ্ন সাবেক বিডিআর সদস্য ইদ্রিস আলীর বাসার ভাড়াটিয়া ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, সোনাডাঙ্গা কাঁচাবাজারের পাশে লেদ মেশিনের কারখানা রয়েছে নিহত আকতারের। তার সাথে হেলপার হিসেবে কাজ করতেন কিশোর মেহেদী হাসান। গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় একজনের ও খাটে লেপ দিয়ে ঢেকে গলায় গামছা পেঁচানো অবস্থায় অন্যজনের লাশ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর সংবাদের ভিত্তিতে সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশ লাশ দু’টি উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। তবে কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড জানাতে পারেননি স্থানীয়রা।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ওসি মো: মমতাজুল হক বলেন, নিহতদের গলায় গামছা ও রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো ছিল। প্রাথমিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো কারণে মেহেদীকে লেদ কারখানার মালিক আক্তার হত্যা করেছেন। পরে অনুশোচনা বা গ্রেফতারের ভয়ে সে নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তবে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে পুলিশের পাশাপাশি পিবিআই ও সিআইডি কাজ করছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং তিন সংস্থার যৌথ তদন্তে ঘটনার প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে বলে আশা করছেন তিনি।


আরো সংবাদ



premium cement