২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

বিরোধী দলের আসনে বসবেন ১৪ দলের শরিকরা : কাদের

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলছেন ওবায়দুল কাদের : নয়া দিগন্ত -

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী ১৪ দলের এমপিদেরকেও জাতীয় পার্টির পাশাপাশি সংসদে বিরোধী দলের আসনে দেখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ তথ্য জানিয়ে বলেছেন, সংসদে বিরোধী দলের আসনে বসবেন ১৪ দলের শরিকরা। বিরোধী দলের আসনে বসলে সরকারের জন্যেও ভালো। তাদের জন্যেও ভালো।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশের প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এ সময় দলের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, এনামুল হক শামীম, অসীম কুমার উকিল এমপি উপস্থিত ছিলেন।
গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও তার শরিকরা মোট ২৮৮টি আসনে জয় পায়। রাজনীতিতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি ও তার শরিকরা আটটি আসন পাওয়ার পর বিরোধী দলে কারা বসবে এ নিয়ে নানা আলোচনা চলে। পরে ২২টি আসন পাওয়া জাতীয় পার্টি বিরোধী দল হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। গতবার বিরোধী দলে থাকার পাশাপাশি মন্ত্রিসভাতেও ছিল জাতীয় পার্টি। তবে এবার সেটি করা হয়নি। এ ছাড়া, জাতীয় পার্টির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অন্য শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদকেও মন্ত্রিত্ব দেয়া হয়নি। এবার তারা বিরোধী দলে বসতে পারেন। তবে নৌকা নিয়ে জয়ী শরিকরা সরকারি দলের বিরুদ্ধে ভোট দিতে পারবে কি না, সেটি নিয়ে প্রশ্ন আছে।
তারপরও শরিকদের বিরোধী দলে দেখতে চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শরিকরা বিরোধী দলে থাকলে সমালোচনা থেকে সরকার শুদ্ধ হতে পারবে।’
তাহলে কি আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জোট ভেঙে যাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৪ দলীয় জোট আদর্শিক ও নির্বাচনী জোট আর মহাজোট কৌশলগত জোট। মহাজোট বা ১৪ দলে কোন টানাপড়েন নেই, ভাঙনের সুর নেই, বিভেদ নেই। তবে কোনো ভুল বোঝাবুঝি হলে আলোচনা করে তা নিরসন করা হবে।
বিএনপির নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টেই ভাঙনের সুর বাজছে মন্তব্য করে কাদের বলেন, বিএনপি এখন বেপরোয়া হয়ে গেছে। তবে সরকার ধৈর্যশীল।
শনিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশটি স্মরণকালের বিশাল জমায়েত হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে গণজোয়ারের মতো ১৯ তারিখেও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণজোয়ার সৃষ্টি হবে।
গত ৩০ ডিসেম্বরের ভোটে জয় উদযাপন করতে এই সমাবেশ ডেকেছে ক্ষমতাসীন দল। এতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

 


আরো সংবাদ



premium cement