২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
বন্দরে ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মদনপুর রণক্ষেত্র : আহত অর্ধশত

-

বন্দরে খলিলুর রহমান (৪৫) নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। এ সময় উত্তেজিত জনতা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের লাঠিচার্জে এক সাংবাদিকসহ কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার দুপুরে মদনপুর উত্তরা সুপার মার্কেটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত খলিল মেম্বার মদনপুর ইউপির ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য ও চানপুর গ্রামের আহম্মদ ফকিরের জামাতা। রেলওয়ের জমির ওপর দোকানপাটের নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী আমির গ্রুপের বাহিনী সদস্যরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী হাফিজউদ্দিন জানান, মদনপুর উত্তরা সুপার মার্কেটের ভেতরে খলিল মেম্বারের অফিস। সেই অফিসের সামনে পোলট্রি ফার্মের দোকান। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় খলিল মেম্বার দু’জন সাংবাদিককে নিয়ে পাশর্^বর্তী চায়ের দোকানে গিয়ে বসেন। এ সময় স্থানীয় নবীর হোসেনের ছেলে সোহেল, সন্ত্রাসী আমির হোসেনের সহযোগী বদু মিয়া ওরফে লেংড়া বদু ও চানপুরের নুরু মিয়ার ছেলে বিল্লালসহ ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্টিক হাতে নিয়ে খলিল মেম্বারকে খোঁজতে থাকে। এ সময় খলিল মেম্বার দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে দ্য বারাকাহ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থা বেগতিক দেখলে চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।
খলিল মেম্বারের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়েক শ’ গ্রামবাসী ছুটে এসে প্রথমে ঢাকা-প্রভাকরদী সড়কের ওপর রেলওয়ের জমিতে গড়ে ওঠা দোকানপাট ভাঙচুর ও অগ্নিংযোগ করে। এ খবর পেয়ে বন্দর থানার পুলিশ এসে গ্রামবাসীকে শান্ত করার চেষ্টা করে। এতে গ্রামবাসী পুলিশের ওপর চওড়া হয়ে পাল্টা হামলা চালায়। পুলিশ লাটিচার্জ ও ফাকা গুলি ছোড়ে। পুলিশের লাঠিচার্জে এক সাংবাদিকসহ কমপক্ষে অর্ধশত ব্যক্তি আহত হয়েছেন। পুলিশের লাঠিচার্জে গ্রামবাসীর আহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে চানপুরসহ আশপাশের গ্রামবাসী ছুটে এসে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। শুরু হয় পুলিশ-গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। একপর্যায়ে পুলিশ পিছু হটে রাফি পেট্রলপাম্পে অবস্থান নেয়। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পাঁচ শতাধিক গ্রামবাসী অবস্থান নেন। এতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা ৩টায় মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম এসে হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিলে উত্তেজিত গ্রামবাসী রাস্তা থেকে সরে যান।


আরো সংবাদ



premium cement