০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


ঝিনাইদহ্ ভেটেরিনারি কলেজকে যবিপ্রবির অনুষদ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি শিক্ষার্থীদের

জাতীয় প্রেসক্লাবে লাউঞ্জে সংবাদ সম্মেলন - ছবি : সংগ্রহ

ঝিনাইদহ্ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজকে অবিলম্বে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ করার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। একইসাথে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চাহিদাপত্রের প্রেক্ষাপটে মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনতিবিলম্বে অনাপত্তিপত্র প্রদানের দাবি করেন তারা।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলন ও পরে মানববন্ধনে তারা এদাবি তুলে ধরেন। এতে তারা বলেন, তাদের দাবি আগামী ২২ তারিখের মধ্যে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয় তাহলে, কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বলা হয় কলেজটি ঝিনাইদহ্ শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি মৎস্য ও প্রানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সরকারি অর্থায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়নে প্রকল্পকারে বাস্তবায়িত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের একমাত্র ভেটেরিনারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ অঞ্চলের জনগণের আশা আকাক্সক্ষা ও চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ও জাতীয় স্বার্থের প্রেক্ষিতে এই কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ৮ অক্টোবরে কলেজটি উদ্ভোধন করেন। কলেজটি স্থাপন প্রকল্পে প্রথম পর্যায় ও দ্বিতীয় পর্যায় যথাক্রমে গত বছর ৩১ ডিসেম্বরে শেষ হয়। এমতাবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে মুখ থুবড়ে পড়ে এবং ভেটেরিনারি শিক্ষার গুণগত মান নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। ইতিপূর্বে স্থাপিত ৪টি ভেটেরিনারি কলেজ তথা চট্টগ্রাম সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ, সিলেট সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ, দিনাজপুর সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ, বরিশাল সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ এর আদলে ঝিনাইদহ্ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।

কিন্তু প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কলেজগুলোর পরিচালনায় ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এ কারণে কলেজ ৪টি ২/৩ বছর মেয়াদে চরম সমস্যার মধ্যে পড়ে এবং সেগুলো বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়। এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে উল্লেখিত ৪টি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ হিসেবে অন্তর্ভূক্ত হয় এবং সেগুলো ভেটেরিনারি পেশায় উচ্চশিক্ষায় মানদন্ডে উন্নীত হয়। এ প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমানে মাষ্টার্স, পিএইচডির যুগোপযোগী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে যা কলেজ থাকা অবস্থায় সম্ভব নয়। কলেজটি যাত্রাকাল থেকেই নানাবিধ সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছে। এর মধ্যে রয়েছে কলেজে কোন অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক নেই।

উপজেলা এবং জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার দ্বারা একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। কলেজটিতে ল্যাব থাকলেও প্রয়োজনীয় মানসম্মত উপকরণ নেই। একাডেমিক কার্যক্রম-বহির্ভূত কোনো কার্যক্রম এখানে হয় না। জাতীয় দিবসগুলোতে কোনো বাজেট প্রদান করা হয় না। বর্তমান কলেজটিতে আবাসিক সমস্যা তীব্র অবস্থা ধারণ করেছে। কলেজ প্রশাসন সঠিক সময়ে ক্লাস পরীক্ষা গ্রহণ করতে বরাবরই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে তীব্র সেশনজট বিদ্যমান আছে। ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ভাতা প্রদানে ব্যর্থতা।


আরো সংবাদ



premium cement