২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

সেই সোহেল এবার ডোবালেন আবাহনীকে

জয়ের পর রহমতগঞ্জের খেলোয়াড়দের উল্লাস, ইনসেটে সোহেল - ছবি : নয়া দিগন্ত

একজন গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। অন্যজন রাসেল মাহমুদ লিটন। শতভুল সত্ত্বেও জাতীয় দলে নিয়মিত সোহেল। লিটন জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন আরো আগে। সোমবার এই দুই গোলরক্ষকের একজন নায়ক, অন্যজন খলনায়ক।

সোহেলের ভুলে ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর। বিপরীতে রহমতগঞ্জকে একাই সেমিতে নিয়ে গেলেন লিটন। ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর টাইব্রেকারে হিরো এই কিপার। আকাশি নীল শিবিরের দুই বিদেশী হাইতির বেলফোর্ড এবং নাইজেরিয়ান সানডের শট ঠেকিয়ে ম্যাচ সেরা গত মৌসুমে চট্টগ্রাম আবাহনীতে কার্যত বসে থাকা ফুটবলার।

গোলশূন্যতে ৯০ মিনিট শেষে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে স্কোর লাইন ১-১। এরপর টাইব্রেকারে লিটনের কৃতিত্বে ৪-৩ এ জয় পুরান ঢাকার দলটির। ২০১৭ সালের পর আবার ফেডারেশন কাপের সেমিতে তারা।

একটি দলে যদি সোহেলের মতো গোলরক্ষক থাকেন তাহলে সেই দলের হারের আর কোনো কারণ লাগে না। অতীতের সব হাস্যকর ভুলের পুনঃমঞ্চায়ন। সোমবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে দর্শক প্রিয় দলটি যখন সেমিফাইনালে যাওয়ার মিনিট খানেক দূরে তখনই সোহেলের সেই বলের ফ্লাইট মিসের পুরনো কাহিনী এবং বল জালে। মাঝমাঠ থেকে আবাহনীর পোস্টে ভেসে আসে নিরীহ গোছের এক লব। সোহেল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে ক্লিয়ার করতে সেই বলের কাছেই যেতে পারেননি।

তার বুক সমান উচ্চতার বিপক্ষ বদলি মিডফিল্ডার এনামুল ইসলাম গাজী সেই বলে হেড করে রহমতগঞ্জ শিবিরে উল্লাসের বন্যা বইয়ে দেন। খেলার বয়স তখন ১১৯ মিনিট। অথচ অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে (৯৪ মিনিট) আবাহনী এগিয়ে গিয়েছিল হাইতির বেলফোর্ডের ডান পায়ের প্রচণ্ড শটে।

আবাহনীর শেষ প্রহরীকে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হতো না যদি ১১৩ মিনিটে বদলি জুয়েল রানা সহজ গোল মিস না করতেন। তার শট কর্নার করেন এই কিপার। ৯০ মিনিটের খেলায় চার ও ৮২ মিনিটে জীবন, ৬৫ মিনিটে সানডেকে হতাশ করে পোস্ট অক্ষত রাখেন তিনি। অবশ্য ৮৫ মিনিটে বেলফোর্ডের ব্যাক হিল গোললাইন থেকে ক্লিয়ার হয় রহমতগঞ্জের তাজিক ডিফেন্ডার আসররভের উপস্থিতিতে।

টাইব্রেকারে আবাহনীর জীবন, শেখ রাসেল থেকে আসা সোহেল রানা এবং নাসির গোল করলেও বেলফোর্ড এবং সানডের শটে বাধা লিটন। সানডের শট ঠেকানোর মাধ্যমে পুরান ঢাকার দলে সেমিতে যাওয়ার আনন্দ। এই স্পট কিকে সৈয়দ গোলাম জিলানীর দলের দিদার, উজবেকিস্তানের আকবির, তাজিকিস্তানের আসররভ এবং নাদিম গোল করেন।

ম্যাচ শেষে আবাহনীর কোচ মারিও লেমস বলেন, ‘আমরা দ্বিতীয়ার্ধে ভালো খেলতে পারিনি। মিস করেছি গোলের কয়েকটি সুযোগ। লিড নিয়ের তা ধরে রাখতে ব্যর্থ। এরপর টাইব্রেকার ভাগ্যে হার।’

রহমতগঞ্জের কোচ জিলানীর বক্তব্য, আমাদের লক্ষ্য ছিল ডিফেন্স শক্ত রেখে আবাহনীকে ঠেকানো। এই কৌশলে সফল। এরপর টাইব্রেকারে লিটনের দুর্দান্ত নৈপুণ্য। যদিও অসুস্থতার জন্য আগের দিন ঠিকমতো অনুশীলন করতে পারেনি সে।


আরো সংবাদ



premium cement