২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কতটা ফিট হয়ে নামতে পারবেন সালাহ

অনুশীলন সতীর্থদের সাথে সালাহ - ছবি : সংগ্রহ

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ মাঠে নামবে আফ্রিকার দল মিসর। বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ছয়টায় ইকাতেরিনবার্গ শহরে অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। এই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ দুইবারের চ্যাম্পিয়ন লাতিন আমেরিকার দল উরুগুয়ে। দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপ খেলার আনন্দে মিসরবাসীর যখন নাচার কথা থাকলেও তারা আছে শঙ্কায়। শঙ্কাটা দলের সবচেয়ে বড় তারকা মোহাম্মাদ সালাহকে নিয়ে। শুধু দল নয়, বর্তমান বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফুটবলারদেরই একজন মোহাম্মাদ সালাহ।

গত ম্যাসে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডার সার্জিও রামোসের বেআইনি ট্যাকলের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সালাহকে। সেই থেকে মাঠের বাইরে এই সুপারস্টার। বিশ্বকাপে খেলাই পড়ে গিয়েছিলো শঙ্কায়। তবে আশার কথা হচ্ছে দ্রুততার সাথে সুস্থ হয়ে উঠেছেন সালাহ। আজ তার মাঠে নামার সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে শতভাগ ফিট সালাহকে পাওয়া যাবে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তবে মিসরের কোচ হেক্টর কুপার জানিয়েছেন, শুক্রবার তার এই প্রিয় শীর্ষ শতভাগ ফিট হয়েই মাঠে নামবেন। বিবিসিকে কুপার বলেন, ‘আমি আপনাদের পুরোপুরি নিশ্চয়তা দিতে পারি যে সে একশো ভাগ ফিট হয়ে আজ খেলবে। শেষ মূহুর্তে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলে তাকে আমরা পাচ্ছি।’

মিসরীয় কোচ আরো বলেন, তার সামর্থ রয়েছে সেরা গোলদাতা হওয়ার, সে সেরা সেরা খেলোয়াড়দের একজন। সে এখন পুরোপুরি সুস্থ, খুব দ্রুত সেরে উঠেছেন।
কোচ আরো বলেন, চিকিৎসরা খেলার বিষয়টি তার ইচ্ছার ওপরই ছেড়ে দিয়েছেন। তবে আমার মনে হয় সে ভীত নয়, আমরা তাকে আত্মবিশ্বাসী করার চেষ্টা করছি।

সৌদি কোচের চাকরি নিয়ে সংশয়
কেবল মাত্র একটি ম্যাচ গেল বিশ্বকাপের, এরই মধ্যে চাকুরি নিয়ে সংশয় শুরু হয়ে গেছে সৌদি আরবের কোচের।অবশ্য সেই ম্যাচটিতেই যে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে সৌদি আরবের। স্বাগতিক রাশিয়ার কাছে ৫-০ গোলের লজ্জা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে সৌদি আরবকে।  আর এই পরাজয়ের পরই প্রশ্ন উঠেছে সৌদি আরবের কোচের চাকরি থাকবে কি না সেটি নিয়ে।  

বৃহস্পতিবার মস্কোতে প্রথম ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে সাংবাদিকদের কাছ থেকে। এক সাংবাদিক সরাসরি প্রশ্নটি করেছেন খোদ সৌদি কোচ আন্তোনিও পিজ্জিকে। কেউ কেউ তো বলছেন গ্রুপের বাকি দুটো ম্যাচের আগেই তার চাকুরি চলে গেলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

অবশ্য এর যথেষ্ট কারণও আছে। কারণটি সৌদি আরবের ঐতিহ্য! বিশ্বকাপে গোল খাওয়ার রেকর্ডের মতোই যে দেশটির কোচ বদলানোরও রেকর্ড রয়েছে। ইতিহাস বলছে, ১৯৯৪ সালের পর থেকে সৌদি আরবের ফুটবলে প্রায় ৪০ জন কোচ বদল হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ গত কয়েক বছরেই আসা-যাওয়া করেছেন কয়েকজন কোচ। সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক পিজ্জিওকেই প্রশ্ন করেছন, যে তিনি চাকুরি হারানোর ভয়ে আছেন কি না। সরাসরি উত্তর না দিয়ে আর্জেন্টাইন কোচ পিজ্জিও প্রশ্নকর্তার দিকে এক পলক তাকিয়ে স্প্যানিশ ভাষায় বললেন, খুব ভালো প্রশ্ন।

২০১০ বিশ্বকাপে হল্যান্ডকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়া ডাচ কোচ বার্ট ফন মারউইককে নিয়োগ দিয়েছিলো সৌদি আরব। তার হাতেই বিশ্বকাপের টিকিটে পেয়েছিলো সৌদিরা। কিন্তু তবু চাকরি টেকেনি সেই কোচের। অবশ্য তাকে আরেকটি চাকরি জুটিয়ে নিতে সমস্যা অবশ্য হয়নি। অস্ট্রেলিয়া ডেকে নিয়েছে তাঁকে। এই বিশ্বকাপে তিনিও আছেন। ফন মারউইকের পর সৌদি আরবে আসেন এদগার্দো বাউজা। তাঁকেও সৌদি আরব থেকে চলে যেতে হয়েছে, অভিযোগ- দলকে যোগ্যতর করে তুলতে পারেননি তিনি।

অবশেষে চিলিকে ২০১৬ শতবার্ষিকী কোপা আমেরিকা জেতানো এই আর্জেন্টাইন কোচকে নিয়োগ দেয় সৌদি আরব। আর সেই কোচের হাতেই কি না পেতে হলো ৫-০ গোলের লজ্জা।


আরো সংবাদ



premium cement