২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

এক ইনিংসই খেলতে চাইবে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস : ২৬৫, বাংলাদেশ ১ম ইনিংস : ২৪০/৩
-

গত কয়েক দিনে বাংলাদেশ টেস্ট দলকে দেখা গেছে ভিন্ন মেজাজে। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের কথায় গায়ে তো জ্বালা ধরেছেই। পাপন ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন বাংলাদেশ হারতেও পারে জিম্বাবুয়ের কাছে। সেটিই বোধ হয় প্রেরণার জন্ম দিয়েছে মুমিনুল বাহিনীকে। শুরুর দিকে সাইফ হাসান আরো একটু টিকে থাকলে এবং তামিম হাফ সেঞ্চুরি করতে পারলে চিত্রনাট্য আরো সুন্দর করে লেখা হতো। বোলাররা তাদের জায়গা থেকে শতভাগ দিয়ে ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা সহজ করে দিয়েছে। ব্যাটসম্যানরা জবাবও দিচ্ছেন। আজ তৃতীয় দিন বড় পুঁজি সংগ্রহ করে চাপে রাখতে চাইবে সফরকারীদের। আপাতদৃষ্টিতে বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশ এক ইনিংস খেলার দিকেই ঝোঁক বেশি।
একমাত্র টেস্টে শুরুর দিনই কাজটা সেরে রেখেছিল বাংলাদেশ। লক্ষ্য ছিল দ্বিতীয় দিন সকালেই যেন জিম্বাবুয়েকে দ্রুত গুটিয়ে দেয়া যায়। প্রথম সেশনে বল হাতে সাফল্যের পর বাকি দুই সেশনে ব্যাট হাতেও সফরকারীদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন শেষে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪০ রান। জিম্বাবুয়ের চেয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে। তাই বড় সংগ্রহের পথেই ছুটছে মুমিনুল হকের দল। মুমিনুল অপরাজিত আছেন ৭৯ রানে, মুশফিকুর রহিম ৩২ রানে।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়েকে প্রথম ইনিংসে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ব্যাট হাতে শুরুটা আশা জাগানিয়া ছিল না। সাইফ হাসান গ্লাভসবন্দী হন দলীয় ১৮ রানে। এর পর নাজমুল শান্তর সাথে ৭৮ রানের জুটি গড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন তামিম ইকবাল। তামিম ইনিংস লম্বা করতে পারেননি যদিও, তিরিপানোর বলে গ্লাভসবন্দী হয়ে বিদায় নিয়েছেন ৪১ রানে। তবে প্রান্ত আগলে রেখে প্রতিরোধ গড়ে ৩৭তম ওভারে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। তামিমের অভাব টের পেতে দেননি তিনি।
অধিনায়ক মুমিনুল হকের সাথে গড়েছেন ৭৬ রানের জুটি। শান্তকে ফিরিয়ে এই জুটি ভেঙেছেন টিশুমা। তার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে শান্ত ফিরেছেন ৭১ রানে, যা তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ। ৭টি চারের মার দিয়ে সাজিয়েছেন ইনিংসটি। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি টেস্ট খেললেও শান্ত দেখা পাননি টেস্ট হাফসেঞ্চুরির। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে সেই অতৃপ্তি মিটিয়েছেন। শান্তর পর হাফসেঞ্চুরির খরা মিটিয়েছেন মুমিনুলও। গত সেপ্টেম্বরের পর দেখা পেলেন প্রথম হাফসেঞ্চুরির। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে এটি তার প্রথম হাফসেঞ্চুরি! মুমিনুলই বড় স্কোরের পথে রয়েছেন। দিনের শেষভাগ নির্বিঘেœ কাটিয়ে দিয়েছেন মুশফিকের সাথে ৬৮ রানের জুটিতে।
এর আগে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৬৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। পেসার আবু জায়েদ রাহী দিনের শুরুর আঘাতটা হেনেছেন। তার বল তিরিপানোর ব্যাটের কানায় লেগে জমা পড়ে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে। ৩১ বলে ৮ রানে ফিরেছেন তিরিপানো। এরপর এনডিলোভুকেও থিতু হতে দেননি রাহী। লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে শূন্যতে বিদায় দিয়েছেন। রাহীর পর টেস্টে প্রথমবারের মতো উইকেট শিকার করেন তাইজুল। বাঁহাতি স্পিনার লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছেন টিশুমাকে (০)। চাকাভা অপরপ্রান্তে কিছু রান তোলার চেষ্টা করেছেন। তাইজুলকে উড়িয়ে মারতে গিয়েই তালুবন্দী হয়েছেন নাঈম হাসানের। ফলে ২৬৫ রানেই শেষ হয় জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় দিন প্রায় দেড় ঘণ্টার মতো টিকেছিল জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। নাঈম ও রাহী দু’জনে চারটি করে উইকেট নিয়েছেন। বাকি দু’টি তাইজুলের।
স্কোর : দ্বিতীয় দিন শেষে
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস : ২৬৫ (আরভিন ১০৭, মাসভাউরে ৬৪, নাঈম ৪/৭০, রাহী ৪/৭১)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস : ২৪০/৩ (মুমিনুল ৭৯*, নাজমুল ৭১, টিশুমা ১/৪৬, তিরিপানো ১/৪০, নিয়ুচি ১/৪০)

 


আরো সংবাদ



premium cement