ভারতের প্রধানমন্ত্রী ১৬ মার্চ ঢাকা আসছেন
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী- কূটনৈতিক প্রতিবেদক
- ৩০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ১৬ মার্চ ঢাকা আসছেন। পরদিন এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখবেন।
মোদির আসন্ন ঢাকা সফরকে ‘পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশীদের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে ভারতের আগ্রহের বহিঃপ্রকাশ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে হিন্দুস্থান টাইমসের একটি প্রতিবেদনে। গতকাল বুধবার প্রকাশিত এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এমন একসময়ে মোদি বাংলাদেশ যাচ্ছেন, যার কিছু দিন আগেই ভারত বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (সিএএ) পাস করেছে। এ আইনে ২০১৫ সালের আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দেয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনটিকে কেন্দ্র করে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্কে দৃশ্যত অস্বস্তি তৈরি হয়। ২০১৯ সালের আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) পাশাপাশি সিএএতে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্যে বাংলাদেশ থেকে কথিত অবৈধ অনুপ্রবেশের দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর ভারতের পার্লামেন্টে সিএএ পাস হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের তিন মন্ত্রী বিভিন্ন কারণে ভারত সফর বাতিল করেছেন। গত ২০ জানুয়ারি গালফ নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সিএএর প্রয়োজন ছিল না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে একই সাথে তিনি এটিকে ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার সৈয়দ মুয়াজ্জেম আলীকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মভূষণ ও প্রতœতত্ত্ববিদ এনামুল হককে তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা পদ্মশ্রীতে ভূষিত করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিতর্কিত নাগরিকপঞ্জি ও নাগরিকত্ব আইন সত্ত্বেও দুই দেশের সম্পর্ক এখনো বেশ মজবুত রয়েছেÑ এমনটাই বোঝাতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশের সাথে নিবিড় প্রতিরক্ষা সহযোগিতাকে উৎসাহিত করে দেশটির জ্বালানি চাহিদা পূরণ করেছে মোদি সরকার। অন্য দিকে হাসিনা সরকার চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করতে দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের সুযোগ করে দিতে কাজ করছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা