২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মূল ফোকাস রোহিঙ্গা ইস্যু

প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর
-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চীন সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যু গুরুত্ব পাবে। বাংলাদেশ চায় দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাবাসন শুরু করতে মিয়ানমারের ওপর প্রভাব কার্যকরভাবে কাজে লাগাক চীন। বিষয়টি নিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কিকোয়েংয়ের সাথে কথা বলবেন শেখ হাসিনা।
আগামী ১ থেকে ৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী চীন সফর করবেন। সফরকালে তিনি চীনের ডালিয়ানে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের সম্মেলনে অংশ নেবেন। ১ থেকে ৩ জুলাই এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যা ‘গ্রীষ্মকালীন ডাভেস’ হিসেবে পরিচিতি। শেখ হাসিনা সম্মেলনের একটি অধিবেশনে প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখবেন। এরপর তিনি চীনের রাজধানী বেইজিং যাবেন। সেখানে চীনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সাথে তার বৈঠক হবে। এসব বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও চীনের সাথে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার, সহযোগিতার ক্ষেত্র ও বাণিজ্য সম্প্রসারণের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে। এ লক্ষ্যে শেখ হাসিনার বেইজিং সফরকালে কয়েকটি চুক্তি সই হতে পারে।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিংয়ের সফরের ফিরতি সফর হিসেবে বেইজিং সফর করবেন শেখ হাসিনা। চীনের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরের সময় দুই দেশ আটটি অগ্রাধিকার প্রকল্পসহ উন্নয়ন খাতে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছিল। শীর্ষপর্যায়ের বৈঠকে এসব চুক্তি ও এমওইউর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে চীন। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উদ্যোগে বেইজিং ও নিউ ইয়র্কে দুই দেশের মন্ত্রীদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তি সই এবং তা বাস্তবায়নে বিভিন্ন সময়ে বৈঠকে চীনের ভূমিকা রয়েছে। তবে মিয়ানমার নানা রকম কৌশলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঠেকিয়ে রেখেছে।
চীন চায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমার দ্বিপক্ষীয়ভাবে রোহিঙ্গা সঙ্কটের সুরাহা করুক। ইস্যুটিকে আন্তর্জাতিকীকরণের বিপক্ষে চীন। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয় চীন। সাথে থাকে রাশিয়া। বাংলাদেশের অনেক চেষ্টার পরও মিয়ানমারের ওপর প্রভাব রাখা দেশ দুটি রোহিঙ্গা ইস্যুতে অবস্থান পরিবর্তন করেছে- এমন কোনো লক্ষণ এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি। তাই প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরকে এ লক্ষ্যে কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে চীনের কার্যকর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করা হবে। চীন তাগাদা দিলে মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং সফরের এজেন্ডায় এ ইস্যুটিতে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement