২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`
মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার

মুখ দেখে নয়, জরিপ ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই মনোনয়ন : শেখ হাসিনা

-

মুখ দেখে নয়, জরিপ ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই দলীয় মনোনয়ন দেয়া হবে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবার মনোনয়ন প্রদানের েেত্র ছোট নেতা, বড় নেতা দেখা হবে না। গত দুই নির্বাচনে মতায় এনেছি, এবারো আমিই মতায় আনবÑ এটা মনে করে কোনো লাভ নেই। প্রার্থীর নিজ নিজ যোগ্যতা, দতা, রাজনৈতিক ত্যাগ-তিতিা থাকতে হবে। জনসম্পৃক্ত হতে হবে।’
গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাাৎকালে তিনি এ কথা বলেছেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক নেতা বিষয়টি জানিয়েছেন। এ সময় দলের ৪ হাজার মনোনয়নপত্র বিক্রিতে বিস্ময় প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এতে দলীয় ফান্ড সমৃদ্ধ হয়েছে ঠিকই। তবে সারা দেশে দল যে নেতৃত্বশূন্যতায় ভুগছে তা এর মাধ্যমে পরিষ্কার ফুটে উঠেছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যেসব আসনে মনোনয়নপত্র বেশি কেনা হয়েছে সেখানে নেতৃত্বশূন্যতা রয়েছে। সেখানে যত বড় নেতাই হোক না কেন, তারা পার্টিকে সংগঠিত করতে পারেনি। এটা তাদের নেতৃত্বশূন্যতার প্রমাণ।’
আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ব্যাপক সমর্থন আছে, ভোটও আছে। কিন্তু ইদানীং দৃশ্যমান কর্মী নেই। আমি ১৯৮১ সালে নেতৃত্বে এসে দলকে সংগঠিত করেছি। তিলে তিলে এই দলকে গড়ে তুলেছি। আমি, রেহানা, জয়, পুতুলসহ আমার পরিবারের সদস্যরা অনেক অসহায় সময় পার করেছি।’
দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জরিপ চালিয়েছি। এর ভিত্তিতে মনোনয়ন দেয়া হবে। কোন প্রার্থীর প্রতি ভোটারের সমর্থন আছে, সেটা বিবেচনায় নেয়া হবে। জরিপে যারা এগিয়ে থাকবে তাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হবে। সেখানে ছোট নেতা, বড় নেতা দেখা হবে না। তবে যাকে মনোনয়ন দেবো তার পে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। নইলে বিপদ হবে। মতায় আসছি মনে করে নিজেদের মধ্যে যে আসন খাওয়া-খাওয়ির মনোভাব তা পরিহার করতে হবে।’
বিদ্রোহী প্রার্থীদের হুঁশিয়ার করে শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘একটা সিট হারলে কিছু হবে না এমন মনোভাব পোষণ করা যাবে না। প্রার্থীর বিরোধিতা করা হলে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হবে। সবাইকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। মতায় এলে অনেক পদ তৈরি করা হবে, সেখানে সবাইকে পুনর্বাসন করা হবে।’
দলের স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের মনোনয়ন দেয়া হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে যারা ইতোমধ্যে নির্বাচিত হয়ে আছেন, তাদেরকে সংসদ সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ঠেকানোর অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু কেউ আওয়ামী লীগকে দমাতে পারেনি। এখনো নির্বাচন নিয়ে, আওয়ামী লীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাাৎকার পর্ব শেষ হয়। তবে সাাৎ পর্বে কারো সাথে ব্যক্তিগতভাবে আলাপ হয়নি বলে জানান মনোনয়নপ্রত্যাশীরা।


আরো সংবাদ



premium cement
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশী শ্রমিকদের ভিসা সহজ করার আহ্বান প্রবাসী প্রতিমন্ত্রীর চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদ্বন্দ্বী না হয়ে অংশীদার হওয়া উচিত : শি জিনপিং ওকাব সভাপতি নজরুল ইসলাম, সম্পাদক জুলহাস আলম পাবনায় ১০ কোটি টাকার অনিয়মে ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা কারাগারে চুয়েট ১১ মে পর্যন্ত বন্ধ, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে শিশুর মৃত্যু হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২ ‘গাজার ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করতে ১৪ বছর লাগতে পারে’ সখীপুরে ছাগল চুরির মামলায় মা-ছেলে কারাগারে ‘অন্যায়ের সাথে নয়া দিগন্তের সাংবাদিকরা কখনোই আপোষ করেন না’ রাজশাহীতে হলে ঢুকতে না দেয়ায় রাস্তায় বিসিএস পরীক্ষার্থীর কান্না

সকল