২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


আমেরিকা ও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে ইউরোপ?

ইউরোপ
রাশিয়ার ৯এম৭২৮ ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র - ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার সাথে ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ নিউক্লিয়ার ফোর্সেস ট্রিটি বা আইএনএফ চুক্তি বাতিলের মার্কিন সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করে মস্কো বলেছে, প্রকৃতপক্ষে আমেরিকা বহু আগেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘আমরা সবাই দুঃখিত যে, আগামী দিনগুলোতে চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত আমেরিকা বহু আগেই নিয়েছে।’

তিনি বলেন, আমেরিকা চুক্তি থেকে সরে গেলেও এ সম্পর্কে মস্কো কিছু চিঠি আশা করে।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন আগেই বলেছেন, আমেরিকা যদি একতরফা এ চুক্তি থেকে সরে যায় তাহলে রাশিয়া জবাব দিতে বাধ্য হবে।

আইএনএফ চুক্তি থেকে সরে গিয়ে আমেরিকা নতুন করে পরমাণু অস্ত্র ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে চায়। পাশাপাশি রাশিয়াকে মোকাবেলার জন্য ইউরোপের মাটিতে এসব ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করবে। রাশিয়াও পাল্টা ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

এ অবস্থায় মনে করা হচ্ছে- আমেরিকা ও রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের মুখে পড়তে যাচ্ছে পুরো ইউরোপ। বিষয়টির ভয়াবহতা অনুধাবন করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোগেরিনি বলেছেন, আমেরিকা ও রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্র হতে পারে না ইউরোপ। তিনি এ চুক্তিকে রক্ষা করার আবেদন জানিয়েছেন।

ফেব্রুয়ারির প্রথম দিনে যুক্তরাষ্ট্র এ চুক্তি থেকে সরে গেলেও এর আঁচ পাওয়া যাচ্ছিল প্রায় চার মাস ধরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত অক্টোবরে ঘোষণা করেন, যদি রাশিয়া তাদের নাইনএম৭২৯ ভূমি থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস না করে তাহলে তারা ফেব্রুয়ারিতে ওই চুক্তি থেকে ছয় মাসের প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরু করবে। যুক্তরাষ্ট্র দাবি করছে, এটি স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে যে চুক্তি করা হয়েছিল, এটি তারই অংশ।


আরো সংবাদ



premium cement