নতুন সরকারে পূর্বের ভূমিকা নিয়েই থাকবে জাতীয় পার্টি; অর্থাৎ দশম জাতীয় সংসদের মতোই একাদশ জাতীয় সংসদে সরকার ও বিরোধী দলে থাকবে তারা। আগের মতোই বিরোধী দলের নেতা থাকবে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের প্রায় ঘণ্টাব্যাপী রুদ্ধদ্বার বৈঠক শেষে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দলটির সংসদ সদস্যরা। বৈঠক শেষে জাপা মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেন, আমরা মহাজোটে ছিলাম, আছি, থাকব।
তিনি জানান, জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা মহাজোট থেকে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন। মহাজোটের সঙ্গেই থাকার বিষয়ে তারা অভিমত দিয়েছেন।
দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদেরও সরকারে থাকার বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন। একইসঙ্গে বিগত সংসদের মতোই বিরোধী দলেও জাপা থাকতে চায় বলে জানিয়েছেন।
দলটির একাধিক সংসদ সদস্যের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি সরকার ও বিরোধী দলে থাকবে। আর বিরোধী দলের নেতা হচ্ছেন রওশন এরশাদ। সংসদীয় দলের বৈঠকে এমনই মতামত দেন দলটির সংসদ সদস্যরা। তারা জানান, তবে সবকিছু শেষ পর্যন্ত নির্ভর করছে পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সিদ্ধান্তের ওপর।
এর আগে, বুধবার (২ জানুয়ারি) নির্বাচন পরবর্তী জাতীয় পার্টির প্রথম প্রেসিডিয়াম সদস্যদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে অধিকাংশ প্রেসিডিয়াম সদস্য সরকারে থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। বিগত দশম সংসদের মতো একইসঙ্গে মন্ত্রিসভা ও বিরোধী দলে থাকতে চায় দলটি। কারণ হিসেবে তারা বলেছেন, এই মুহূর্তে সরকারের বিপক্ষে মাঠে নেমে ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। তাতে হিতের বিপরীত হতে পারে। বরং সরকারে থেকে দলকে শক্তিশালী করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বৈঠকে দলটির সদ্য নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের অনেকে বলেছেন, আমরা উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আবার ভোট দিয়ে জিতিয়েছে আওয়ামী লীগের লোকও। তাই আমরা যদি বিরোধী দলে থাকি, তাহলে উন্নয়ন ব্যাহত হবে। তাতে ভবিষ্যতে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট চাওয়া কঠিন হবে। বৈঠকে সংখ্যাধিক্যের মতে সরকারে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা