২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


এক মাস ধরে রাজপথে শিক্ষকেরা

বেতনের ন্যায়সঙ্গত দাবি মেনে নিন

-

বাংলাদেশে শিক্ষকেরা এখনো সমাজে নানাভাবে অবহেলিত। জীবনযাপনের জন্য ন্যূনতম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না শিক্ষকদের বিরাট একটি অংশ। রাষ্ট্রীয় সুযোগ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। বেতনভাতার দাবিতে বিভিন্ন সময় শিক্ষকদের কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে। এমনকি তাদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে সরকার তাদের দাবি মেনেও নিয়েছে; কিন্তু সব শিক্ষকের জন্য সরকারিভাবে এখনো বেতনের ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি। শত শত শিক্ষক এখনো এই দাবিতে আন্দোলন করছেন।
সরকারিভাবে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার-এমপিওভুক্তির দাবিতে ১৬ দিন অনশনসহ টানা এক মাস ধরে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন নন-এমপিও শিক-কর্মচারীরা। গত ১০ জুন থেকে শিকেরা জাতীয় প্রেস কাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর এক দিন প্রতীকী অনশনের পর ২৫ জুন থেকে আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। ঈদুল ফিতরের দিন পরিবার-পরিজন ছেড়ে প্রেস কাবের সামনেই ঈদের নামাজ আদায় করেন শিকেরা। এভাবে রাজপথে শিক্ষকেরা বেতনের দাবিতে অবস্থান করছেন। প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি জাতীয় সংসদে বলেছেন, নীতিমালার ভিত্তিতে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির বিষয়ে দ্রুত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে; কিন্তু শিক্ষকেরা তাতে আশ্বস্ত হতে পারেননি।
শিক্ষকেরা বলছেন, অতীতে তাদের আশ্বস্ত করা হলেও শেষ পর্যন্ত দাবি পূরণ হয়নি। বেতন না পাওয়ায় তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা এ পর্যন্ত ২৭ বার আন্দোলন করেছেন। শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তার একান্ত সচিবের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করা হলেও সে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। শিক্ষকেরা চান এবার তাদের বেতনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট ঘোষণা। অনেক শিক্ষক খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
বিশ্বের খুব কম দেশে শিক্ষকদের বেতনভাতার দাবিতে এভাবে আন্দোলন করতে হয়। এ দেশে ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় অর্থে সেগুলো টিকিয়ে রাখতে হয়। দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থের বিপুল অপচয় হয়, কিন্তু শিক্ষকেরা বেতনের দাবিতে আমরণ অনশন করেন। এভাবে কোনো জাতি সামনে এগোতে পারে না। শিক্ষকেরা যদি সুষ্ঠুভাবে বেঁচে থাকতে না পারেন, তাহলে শিশু-কিশোরদের কী শিক্ষা দেবেন? আমরা মনে করি, শিক্ষকদের ন্যায়সঙ্গত বেতনের দাবি মেনে নেয়া উচিত। প্রয়োজনে শিক্ষকদের যোগ্যতার দিকটি বিবেচনা করা যেতে পারে; কিন্তু তাদের বেতনভাতা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা আশা করব, সরকার দ্রুত এ ব্যাপারে তাদের দাবি মেনে নেবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
ফিলিপাইনে মে মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রচণ্ড গরম থাকবে তীব্র তাপদাহে পথের ধারে সৌন্দর্য বিলাচ্ছে কৃষ্ণচূড়া তজুমদ্দিনে আগুনে পুড়ে ১৩ দোকান ছাই গাজা নিয়ে আলোচনার লক্ষ্যে সৌদি আরব যাচ্ছেন ব্লিংকেন ধামরাইয়ে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ, কাঁদলেন মুসুল্লিরা বান্দরবানে নিরাপত্তা বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ২ কেএনএফ সদস্য নিহত এসএসসি পরীক্ষার ফল ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশ কলাপাড়ায় বালুর জাহাজ থেকে ছিটকে পড়ে শ্রমিক নিখোঁজ যেসব কারণে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার ফেসবুক আইডি ও পেজ কুয়াকাটাসহ উপকূল পুড়ছে তাপপ্রবাহে, স্বস্তি নেই জনজীবনে আজ দুপুরে দেশের উদ্দেশে আল হামরিয়া বন্দর ছাড়বে এমভি আব্দুল্লাহ

সকল