১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য না বাড়ার কারণ জানালো বিশ্বব্যাংক

দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য না বাড়ার কারণ জানালো বিশ্বব্যাংক - সংগৃহীত

দক্ষিণ এশিয়ায় আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের মাত্র ৯ ভাগ অবদান রাখছে বাংলাদেশ। অথচ এ পরিমাণ দ্বিগুণ করা সম্ভব, যা মুদ্রার হিসেবে ১৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু প্রধান চারটি বাধায় বাংলাদেশের এ বাণিজ্য বাড়ছে না। এগুলো হলো, ট্যারিফ ও প্যারা ট্যারিফ, নানা ধরণের অশুল্ক বাঁধা, যোগযোগে পণ্য পরিবহণ খরচ এবং সীমান্তে আস্থার সংকট বা অবিশ্বাস।

‘এ গ্লাস হাফ ফুল: দ্য প্রমিজ অব রিজিওনাল ট্র্রেড ইউনিয়ন ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক বিশ্বব্যাংকের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসছে। প্রতিবেদনে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে বলা হয় দক্ষিণ এশিযার বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ৭ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। অথচ শুধু ভারতের সঙ্গেই এর চেয়ে বেশি ব্যবসা করা সম্ভব। সে জন্য আন্তঃদেশীয় সক্ষমতা ও অবকাঠামো কাজে লাগানোর পরামর্শ দেয় বিশ্বব্যাংক।

গতকাল বুধবার স্থানীয় এক হোটেলে বিশ্বব্যাংক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। গবেষণা প্রতিবেদন সম্পর্কে মূল বক্তব্য দেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয় বিষয়ক সমন্বয়ক ও লিড ইকনোমিষ্ট সঞ্জয় কাঠুরিয়া। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান ও পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার প্রমূখ।

প্রতিবেদনে সঞ্জয় কাঠুরিয়া বাণিজ্য বাঁধার মূল চারটি কারণ তুলে ধরেন। তিনি উল্লেখ করেন, বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে আন্তবাণিজ্য খুবই কম। বিশ্বের মোট বাণিজ্যের মাত্র ৫ ভাগ হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বাণিজ্য। যেখানে পূর্ব এশিয়া ও প্যাসিফিকে বাণিজ্যের আকার ৫০ ভাগ। বহির্বিশ্বের সাথে বাংলাদেশ যে বাণিজ্য করছে, তার মাত্র ৮ ভাগ দক্ষিণ এশিয়ার সাথে।

এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান উল্লেখ করেছেন, বহির্বিশ্বের সাথে বাণিজ্য, আঞ্চলিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, জ্বালানি এবং বিনিয়োগে জোর দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতির বড় শক্তি হয়ে উঠতে পারে। রপ্তানি নীতিতে পক্ষপাত রয়েছে উল্লেখ করে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার সাথে বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি উন্নতি করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, অঞ্চলভিত্তিক বিশ্ববাণিজ্যে তুলনা করলে আমাদের দক্ষিণ এশিয় বাণিজ্যে সুবিধা অনেক কম। আবার অবকাঠামো সমস্যার পাশাপাশি মণুষ্যসৃষ্ট সমস্যাও আছে। এসব কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবণতা ইউরোপ-আমেরিকা নির্ভর হয়ে ওঠছে। কারণ সেখানে সুবিধা বেশি। তবে নিজেদের স্বার্থেই এ অঞ্চলেরই দেশগুলোর পারস্পরিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য উন্নয়ন করতে হবে। বিশেষ করে প্রতিবেশি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হবে। এর লক্ষ্যে সরকার কাজও করছে। এক্ষেত্রে স্পর্শকাতর তালিকায় থাকা পণ্যের সংখ্যা কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। এছাড়া সাফটাকে কার্যকর করার চেষ্টা চলছে। এটি কার্যকরের মাধ্যমেও নতুন করে কানেকটিভিটি বাড়ানো সম্ভব হবে।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্ত:দেশীয় সংযোগ বাড়ানো গেলে দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের দেশগুলোর বর্তমান বাণিজ্য ২৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বাড়িয়ে তিন গুণ অর্থাৎ ৬৭ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। তবে এ সম্ভাবনায় প্রধান অন্তরায় হচ্ছে উচ্চ শুল্ক, আধা শুল্ক ও অশুল্ক বাধা, কানেকটিভিটি খরচ এবং সীমান্ত আস্থার সঙ্কট। এসব কারণে সারা বিশ্বে যেখানে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য করছে, সেখানে গত ২৫ বছরে এ অঞ্চলের বাণিজ্য এখনও ২৩ বিলিয়ন ডলারেই আটকে আছে।

পিআরআইএর চেয়ারম্যান ড. জায়েদী সাত্তার বাণিজ্য বাধা দূরিকরণের করণীয় সম্পর্কে বলেন, বিশ্ববাণিজ্যে দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের বাণিজ্য অংশিদারিত্বে বাড়াতে একটি শক্তিশালী ও বাস্তবধর্মী গবেষণা দরকার। এর মাধ্যমে বেরিয়ে আসা ইস্যুগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement
দেশে আরেকটি ডামি নির্বাচন হচ্ছে : রিজভী ‘আমার আর থাহার কোন জাগা নাইরে বাজান!’ তামিমের দ্বিতীয় ফিফটি, বড় সংগ্রহের ভিত গড়ছে বাংলাদেশ বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন বিশেষ রাষ্ট্রদূত মিল আগে যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন বম উজিরপুরে বিশ্বনবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল তামিমের ব্যাটে বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু নাটোরে এক প্রার্থীর সমর্থককে মারপিট করায় অপর প্রার্থী গ্রেফতার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অবসরে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার কক্সবাজারে ৩ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ সরকারের জনসমর্থন শূন্যের কোঠায় : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

সকল