২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

ব ই আ লো চ না

-

বাংলা সাহিত্যে কিশোর উপন্যাস হাতে গোনা কয়েকটি। আধুনিক লেখকদের মধ্যে শুধু জাফর ইকবালের নাম উঠে আসে, তাও আবার সায়েন্স ফিকশন প্রকাশের জন্য। কথাসাহিত্যিক জিল্লুর রহমান এই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছেনÑ তার লেখা কিশোর উপন্যাস পরীর স্বপ্ন, ক্রিকেটার তূর্য এবং সেই ছেলেটি ইতোমধ্যে পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে ।
একজন গল্পকার হিসেবে আজ আমি আলোচনা করব ‘সেই ছেলেটি’ উপন্যাস নিয়ে যা প্রকাশিত হয়েছে নওরোজ কিতাবিস্তান থেকে।
১৪-১৫ বছর বয়সের কিশোর সৌরভ; শখ বিজ্ঞানী হওয়া। লেখাপড়ার ফাঁকে ফাঁকে সে কম্পিউটারে গেম খেলে, ইন্টারনেটে ব্রাউজ করে, মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করে, কৃত্রিমগ্রহ-নক্ষত্র তৈরির চেষ্টা করে, মোবাইল ফোনের পুরাতন ব্যাটারি, প্লাস্টিকের ফ্যান আর ছোট মোটর দিয়ে ফ্যান তৈরি করে। সৃষ্টিশীল এসব কাজে অবমূল্যায়ন, মায়ের মাত্রাতিরিক্ত শাসন এবং বাবা-মায়ের দাম্পত্য কলহের কারণে তার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে ওঠে। সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর ঘটনাক্রমে বন্দী হয় পাচারকারী চক্রের হাতে।
মোবাইল ফোনে জয়ার সাথে পরিচয় হয় পিয়ালের। পিয়াল প্রেমের অভিনয় করে, জয়াকে প্রলোভন দেখিয়ে পাচারকারী চক্রের কাছে বিক্রি করে দেয়। দু’জনের আশ্রয় হয় ছেলেধরার বন্দী শিবিরে। তারা দু’জনে বুঝতে পারে ডাইনি মহিলা তাদের ভারতে পাচার করে দেবে, জয়ার আশ্রয় হবে কোনো পতিতালয়ে আর সৌরভের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করে তার লাশ পড়ে থাকবে বেওয়ারিশ হয়ে। প্রতি মুহূর্তে আতঙ্ক, দু’জনে মৃত্যুকূপ থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করে।
একদিন ডাইনি মহিলা তাদের নিয়ে রওনা হয় ঢাকা থেকে লালমনিরহাট দিয়ে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে। তাদের বোতলের পানির সাথে মেশানো হয় ঘুমের ওষুধ। সৌরভ বুঝতে পারে, সে জয়াকে পানি খেতে নিষেধ করে এবং নিজেও পানি খাওয়া বন্ধ করে দেয়। তারা দু’জনে বাঁচার চেষ্টা করে, সুযোগ খোঁজে। বাস ফুড ভিলেজে এসে থামতেই সৌরভ চিৎকার দিয়ে উঠে। বাসের সব যাত্রী ডাইনি, মোখলেস আর তাদের ক্যাডারকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। এভাবেই কাহিনী এগিয়ে যায়। বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।
Ñ রোদেলা নীলা


আরো সংবাদ



premium cement