২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

আশুলিয়ায় সড়ক ও মহাসড়ক পরিবহণ শূন্য

ধর্মঘটের কারণে পরিবহন শূন্য রাস্তা। ছবিটি বুধবার দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকা থেকে তোলা - নয়া দিগন্ত

দেশব্যাপী অঘোষিত পরিবহন ধর্মঘটের অংশ হিসেবে আশুলিয়ায় সকল সড়ক, মহাসড়ক ও শাখা সড়ক পরিবহন শূন্য হয়ে পড়েছে। সড়ক ও মহাসড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিবহন শ্রমিকদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। ধর্মঘটে দূরপাল্লার পরিবহনসহ স্থানীয় কোনো পরিবহনও চলাচল করতে দেখা যায়নি সড়কগুলোতে। তবে সড়কগুলোতে রয়েছে রিক্সা ও নিষিদ্ধ অটোরিক্সার রাজত্ব। বুধবার ভোর থেকে আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়ক সরেজমিনে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

এ ব্যাপারে পরিবহণ শ্রমিক রুবেল পিকেটিংকালে জানায়, সরকার নতুন সড়ক আইন কার্যকর করেছে। সেখানে চালকদের মোটা অংকের টাকা জরিমানার বিধান রেখেছে। যা একজন চালকের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়। দুর্ঘটনায় পরিবহন চালকদের জামিনযোগ্য বিধান রাখতে হবে। এছাড়া সরকার বিভিন্ন আইন তৈরি করে পরিবহন শ্রমিকদের ওপর ‘চাপিয়ে দিয়েছে’। যা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যথায় অনির্দিষ্টকালের এ ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে বলে দাবি তার।

সোহানুর বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, তিনি ও তার সঙ্গীরা সিরাজগঞ্জ যাওয়ার জন্য জামগড়া এলাকা থেকে রিক্সায় ৬০টাকা ভাড়া দিয়ে বাইপাইল এসেছেন। অথচ বাসে ভাড়া ৩জনের ১৫ টাকা। এখানে এসে কোন পরিবহন না পেয়ে হতাশ হয়ে আবার বাসায় রওয়ানা দিয়েছেন। এভাবে যাত্রীদের জিম্মি করে কারো স্বার্থ হাসিল করা অমানবিক বলেও তিনি জানান।

বাজার করতে আসা শামীম নামে এক ব্যক্তি জানান, কাঁচাবাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এভাবে চলতে পারে না।

সাত্তার নামে এক ব্যবসায়ী জানান, বাজারে মালামালের সরবরাহ রাত থেকেই কমে যাওয়ায় কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি মাছের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে।

আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, পরিবহন শ্রমিকরা দেশের মানুষকে জিম্মি করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে জনদুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। পরিবহন শ্রমিক ধর্মঘটে আশুলিয়ার কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি এবং কাউকে আটক করা হয়নি বলেও জানান তারা।


আরো সংবাদ



premium cement