২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় নৌরুটে

তীব্র স্রােত-ফেরি সংকটে যানবাহন পারাপার ব্যাহত, পুলিশের চাঁদাবাজী

- ছবি : নয়া দিগন্ত

দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে তীব্র স্রােত, ফেরির ইঞ্জিন দুর্বল, নদী ভাঙনসহ নানা সংকট দেখা দেয়ায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ এই রুটে যানবাহন পারাপার ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে দৌলতদিয়ায় ৭ কিলোমিাটার জুড়ে যানবাহনের লম্বা লাইন সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের চাঁদাবাজীসহ নানা কারণে যাত্রী চালকদের ভোগান্তী চরম আকার ধারণ করেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা নাগাদ দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোয়ালন্দ উপজেলা জামতলা বাজার পর্যন্ত অন্তত সাড়ে ৭ কিলোমিটার জুড়ে যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। এ সময় হাজার হাজার সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের দুর্ভোগ পোহাতে দেখা যায়।

চলতি সপ্তাহের শুরু থেকে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল থেকে নদী পার হতে আসা ৩ সহস্রাধিক ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন মহাসড়কে সিরিয়ালে আটক পড়েছে বলে জানা গেছে। ফেরির ইঞ্জিন দুর্বল হওয়ায় তীব্র স্রোতের সাথে কুলিয়ে উঠতে নাপারায় যানবাহন বোঝাই ফেগুলোর নদী পার হতে তিনগুন সময় বেশী লাগছে। নদীর স্রােত স্বাভাবিক অবস্থায় যেখানে নদী পার হতে ২৫-৩০ মিনিট সময় লাগে বর্তমানে দেড় থেকে ২ ঘন্টা সময় লাগছে।

সরেজমিন দৌলতদিয়াঘাট পরিদর্শনে গেলে দেখা যায়, নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ৬নং ফেরি ঘাটে থাকা ফেরির পল্টুনের র‌্যাম ডুবে যাওয়ায় ফেরিতে উঠতে যানবাহনগুলোর ব্যাপক বেগ পেতে হচ্ছে। এ সত্বেও বিআইডব্লিউটিএ’র গাফিলতির কারণে ফেরির পল্টুন সরানো হচ্ছে না বলে জানা যায়।

এ সময় ৬নং ফেরি ঘাটের ভাটিতে ভাসমান অবস্থায় ঘাটের ভেরার চেষ্টায় থাকা আমানত শাহ নামের ফেরিটি দেখিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, সকাল ১০টায় ওই ফেরিটি পাটুরিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে এসেছে। এখন দুপুর ২টা নাগাদ ঘাটে ভিরতে পারেনি। এছাড়া শাহ জালাল নামের আরেকটি ফেরি স্রােতের বেগে ঘাটে ভিরতে না পারায় পুনরায় পাটুরিয়ায় ফিরে গেছে।

এ দিকে টর্মিনালের আগে সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকা হানিফ পরিবহনের চালক তরিকুল ও সাকের পরিবহনের ফোরকান জানায় আলম নামে এক পুলিশ কর্মকর্তার চাহিদা মাফিক টাকা দিতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে দৌলদিয়াঘাট পুলিশ বক্সের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই আলমকে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, চালকরা নিয়ম ভঙ্গ করে ডানদিক দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ায় আপনাদের কাছে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। কারো কাছে কোন টাকা চাওয়া হয়নি।

জানা যায়, পদ্মার পানি দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতদিয়া পয়েন্টে নদীর পানি বিপদ সীমার প্রায় ৩৫ সে. মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ অঞ্চলে স্বাভাবিক পানির স্তর ৮.৬৫ সে.মি.।

বিআইডব্লিউটিসি’র ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ জানান, পদ্মা নদীতে প্রচন্ড স্রােত থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের ফেরিগুলো নদী পারাপারে দ্বিগুন সময় ব্যয় হচ্ছে। তাছাড়া এ রুটে চলাচল করা ১৫টি ফেরির মধ্যে ৩টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে স্রোতের সাথে কুলিয়ে উঠতে না পারায় বসা আছে।


আরো সংবাদ



premium cement