ফরিদপুরের সালথা উপজেলার নটখোলা গ্রামে গঞ্জর খাঁ ও মুশা মোল্লা নামে দুই ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় ১৩ জন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে ১৪ আসামিকে।
আজ বুধবার দুপুরে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো: মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১১ জন আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি দু’জন পলাতক রয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা যায়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মান্নান খান, সুরমান খা, মাজেদ খা, ওয়াজেদ খা, রাশেদ খা, সিদ্দিক ফকির, সোহরাব ফকির, আফসার ফকির, ফজলু ফকির, রহমান খা, রেজাউল খা, জিকির খাঁ ও ওসমান ফকির।
সাজাপ্রাপ্ত ১১ আসামিকে আদালত থেকে জেল হাজতে নেয়ার সময় দায়িত্বরত কোর্ট পুলিশ এসআই শাহ আলমের জিম্মা থেকে আফসার ফকির (৪৬) নামে একজন আসামি পালিয়ে যান।
রায় ঘোষণার সময় সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন সোহরাব ফকির ও জিকির খাঁ।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৩ সালের ২৩ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৭টায় জেলার সালথা উপজেলার নটখোলা গ্রামে পেঁয়াজের দানা তোলাকে কেন্দ্র করে বিরোধ মীমাংসায় একটি শালিশ বৈঠক হয়। ওই শালিশ বৈঠক চলাকালে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামিপক্ষ গঞ্জর খাঁ ও মুশা মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করে।
ওই দিনই নিহত মুশা মোল্লার ভাই আলাল মোল্লা মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন সালথা থানায়। মামলায় দীর্ঘ সাক্ষ্য ও শোনানী শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।
এ বিষয়ে ফরিদপুর বিশেষ জজ আদালতের পিপি অ্যাড. গোলাম রব্বানী বাবু মৃধা জানান, আদালত মামলার যে রায় দিয়েছেন তাতে তারা সন্তুষ্ট।
এদিকে, আদালত চত্বর থেকে আসামি পলায়নের বিষয়ে ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ওসি এফ এম নাসিম জানান, ‘আদালত থেকে আসামিদের জেল হাজতে নেয়ার সময় স্বজনদের প্রচুর ভিড় ছিলো। অসাবধানতাবশত আফসার ফকির নামের এক আসামি এই সুযোগে পালিয়ে যায়। আমরা পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে অভিযান পরিচালনা করছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে পাকড়াও করতে পারবো।’
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা