২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

নিখোঁজ বিউটিশিয়ান কান্তা কোথায়?

নিখোঁজ বিউটিশিয়ান কান্তা কোথায়? - ছবি : সংগ্রহ

এক মাস আগে আশুলিয়া থেকে নিখোঁজ বিউটিশিয়ান মার্জিয়া সুলতানা কান্তার আজো সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ কোনো উদ্ধার তৎপরতা বা কান্তা জীবিত না মৃত এ সম্পর্কে কোনো কিছুই জানে না।

২১ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টায় দু’টি বিউটি পার্লারের মালিক মার্জিয়া সুলতানা কান্তা নিখোঁজ হন। গত ৫ অক্টোবর আশুলিয়া থানায় তার সন্ধান চেয়ে কান্তার বাবা সোহরাব হোসেন রতন মিয়া বাদি হয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি (নং ৩৭২) করেন। 

মার্জিয়া সুলতানা কান্তা নরসিংদী জেলার বেলাবো থানাধীন বীরবাগবের এলাকার সোহরাব হোসেন রতন মিয়ার মেয়ে। তিনি আশুলিয়ায় নিজ নামে দু’টি বিউটি পার্লারের মালিক। তিনি বেরণ ছয়তলা এলাকার অ্যাডভোকেট নাজমুল হকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।

এ ব্যাপারে কান্তার বড় বোন রিতা বলেন, ২০১৭ সালের ১৮ আগস্ট জামগড়া মোল্লাবাজার ফরিদ মিয়ার বাড়িতে কান্তার ভাড়াবাসা থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে এলাকার কিছু বখাটের সহায়তায় শহিদুল ইসলাম সাগর তার বোনকে বিয়ে করে। সাগর কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী থানাধীন বামনেরচর এলাকার আব্দুল গণির ছেলে। সে এর আগে আরো তিনটি বিয়ে করেছিল। সাগর খারাপ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে পাঁচ-ছয়টি মামলা রয়েছে। সে প্রায়ই ভারতে যাতায়াত করত। এমনকি বিউটি পার্লারের জন্য কান্তাকে বিভিন্ন কসমেটিকস মালামাল এনে দিত। হঠাৎ একদিন সাগর তার বোন কান্তাকে প্রস্তাব দেয় তাকে নিয়ে সে ভারতে বেড়াতে নিয়ে যাবে। সে মোতাবেক গত ২১ সেপ্টেম্বর ভারতের উদ্দেশে কান্তাকে নিয়ে দুপুর ১২টায় রওয়ানা হয়। তারা তিন-চার দিন ভারতে থেকে চলে আসবে বলে জানায়।

ওই দিন সন্ধ্যায় সাগর জানায়, তারা পরের দিন সকালে বেনাপোল বর্ডার পার হবে। ২২ সেপ্টেম্বর জানায়, তারা বর্ডার পার হচ্ছে। এর পর থেকে তাদের মোবাইল বন্ধ রয়েছে। অদ্যাবধি তাদের কোনো খোঁজ নেই। এ অবস্থায় তার বাবা সোহরাব হোসেন রতন মিয়া আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ফুল মিয়া। তিনি জানান, মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের জন্য খরচ লাগবে। এ জন্য তাদের কাছে পাঁচ হাজার টাকা দাবি করেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তাকে সে মোতাবেক টাকা দেয়া হয়। এক সপ্তাহ পর মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের স্টেটমেন্ট হাতে পেয়ে দেখতে পান সাগরের কাছে থাকা মোবাইলের অবস্থান শরীয়তপুর জেলা শহরে। এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাদেরকে জানান, তাকে উদ্ধারের জন্য মামলা করতে হবে। এ জন্য ১০ হাজার টাকা তাকে দিতে হবে। এ অবস্থায় পরিবারটি দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

রিতা আরো জানান, কান্তা ও সাগরের খোঁজে তারা কুড়িগ্রাম গিয়েছিলেন। সেখানে তার বাবা-মা ও স্বজনেরা জানান, সাগর খারাপ ছেলে। সে বাড়িতে সহজে আসে না। দুই-তিন বছর পর এসে দু’দিন থেকে চলে যায়। সে কী কাজ করে তা-ও তারা জানেন না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপপরিদর্শক ফুল মিয়া বলেন, তিনি কাজে ব্যস্ত রয়েছেন, সাংবাদিকদের সাথে তিনি কথা বলবেন না।


আরো সংবাদ



premium cement