২১ জেলার প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর দৌলৎদিয়া-পাটুরিয়া নৌ-রুটে চলন্ত ফেরীতে জমজমাট জুয়ার আসর বসছে। এতে প্রতিনিয়তই সর্বস্ব খুইয়ে খালি হাতে বাড়ী ফিরতে হচ্ছে যাত্রীদের।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কুষ্টিয়ার সোহাগ ও হাসান আলী দু, বন্ধু ঢাকার গাবতলী থেকে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ওঠে রাজধানী পরিবহনে। তার সাড়ে ১২ টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে পৌছে। ফেরী সল্পতার কারণে যানজটে ভোর ৫টার দিকে গাড়ীটি ফেরী বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানে ওঠে। ফেরীটি মাঝনদীতে আসার পরই গাড়ী থেকে নেমে দেখতে পায় জুয়ার আসর। চারিদিক দিয়ে ঘিরে আছে ১০-১২জনের জুয়ারী দল। জুয়া খেলা দেখে তারা দু,বন্ধুও প্রলুব্ধ হয়। খেলতে খেলতে কাছে থাকা ১০ হাজার টাকার সবই খুইয়ে ফেলে। ফেরীতে দৌলৎদিয়া ঘাটে পৌছানের আগ মুহুর্তে তারা খেলা বন্ধ করে চলে যায়। এরকম অনেক যাত্রীই তাদের মতো সর্বস্ব খুইয়ে নিঃস্ব হয়ে খালি হাতে বাড়ী ফিরেছে।
তবে সোহাগ ও হাসান জানান, আসলে আমরা একটি শিক্ষা পেলাম। যখন তাদের খেলা দেখে এগিয়ে যাই, তাদের লোক ধরছে আর জিতসে। তারাই আবার খেলতে নিষেধ করছে। এ ভাবেই যাত্রীদের প্রলুব্ধ করে জুয়ারী চক্র।
চলন্ত ফেরীতে জুয়ার আসর সম্পর্কে কয়েকজন ড্রাইভার জানান, প্রতিদিন রাতেই চলন্ত ফেরীতে জুয়ার আসর বসে। ফেরী যখন মাঝনদীতে আসে তখন জুয়ারু দল ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে এসে ফেরীতে উঠে জুয়া খেলা শুরু করে। আর এ জুয়ার আসরে কেউ পা রাখলে তাকে নিঃস্ব হয়ে ফিরতে হয়। এটা নিত্য দিনের ঘটনা। অনেক সময় টাকা-পয়সা কেড়ে নিয়ে যায়।
রাজধানী পরিবহনের যাত্রী কৃষক আরশেদ আলী জানান, তিনিও ঢাকা থেকে বাড়ী ফিরছিলেন। গাড়ীর সামনে জুয়া খেলা দেখে এগিয়ে যান। লোভের বসে ৫শত টাকা ধরলে সে হেরে যান। তবে তিনি জুয়ারী চক্রের সদস্য ছাড়া কাউকে জিততে দেখেননি। তিনি আরো বলেন, এ ভাবে কেউ যেন আর জুয়ারু চক্রের ফাঁদে পা না রাখে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা