০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কে কী-------কেন কিভাবে

পেয়ারা

-

আজ তোমরা জানবে পেয়ারা সম্পর্কে । কাঁচা ও পাকাÑ উভয় অবস্থায়ই এ ফল খাওয়া যায়, যা তোমাদের জানাই আছে। আবার পেয়ারা থেকে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্

তোমাদের অনেকেই পেয়ারা খেতে ভালোবাসো, তাই না? পরিণত পেয়ারা খাওয়া যায় কাঁচা ও পাকা উভয় অবস্থাতেই। সাধারণত এটি পাকা অবস্থাতেই খেতে বেশি ভালো লাগে।
পেয়ারা ভিটামিন-সি ও পেকটিনের অন্যতম উৎস। এতে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসও রয়েছে প্রচুর। তোমরা জেনে অবাক হবে যে, কমলালেবু, বাতাবীলেবু, বিলিম্বি, লিচু, ডালিম, জলপাই, কামরাঙা প্রভৃতির চেয়ে পেয়ারায় অনেক বেশি ভিটামিন সি থাকে। এছাড়া এ ফলে রয়েছে আমিষ, শ্বেতসার, লৌহ, ক্যারোটিন, খনিজ লবণ, ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-বি২, ইত্যাদি।
পেয়ারা কিছু রোগ প্রতিরোধ করে। বুঝতেই পারছো, এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। এ কারণে পেয়ারা খাওয়া উচিত।
কাঁচা ও পাকাÑ উভয় অবস্থায়ই এ ফল খাওয়া যায়, যা তোমাদের জানাই আছে। আবার পেয়ারা থেকে বিভিন্ন সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায়। এ খাবার খেতে খুব মজা, তাই না? টাটকা পেয়ারা থেকে সালাদ, পুডিং প্রভৃতি করা যায়। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে এ ফল থেকে মোরব্বা, শরবত, আচার, আইসক্রিম প্রভৃতি তৈরি করা যায়।
আমেরিকার উষ্ণমণ্ডলীয় দেশগুলো হচ্ছে এ ফলের আদি জন্মস্থান। অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, মেক্সিকো থেকে পেরু এবং অন্যান্য দেশে ফলটির বিস্তার ঘটে। বর্তমানে ভারত, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ, ব্রাজিল, মেক্সিকো প্রভৃতি দেশে ব্যাপকভাবে পেয়ারার চাষ হয়; এগুলো হচ্ছে পেয়ারা উৎপাদনকারী প্রধান দেশ। বাংলাদেশও পেয়ারা উৎপাদনকারী প্রধান দেশগুলোর একটি। আমাদের দেশের প্রায় সব জায়গাতেই পেয়ারা জন্মে। তবে বাণিজ্যিকভাবে বরিশাল, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, নরসিংদী, কুমিল্লা, গাজীপুর ও খুলনায় বেশি পেয়ারা উৎপন্ন হয়।


আরো সংবাদ



premium cement