০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

চার.

‘কাঠ?’ নিজেকে প্রশ্ন করল সে। ‘জাহাজের?’ মড়াত করে একটা শব্দ হলো। চোখের সামনে ঘনিয়ে এলো ওর কালো অন্ধকার।
ডাল ভেঙে পড়েছে মাথায়। বাড়ি লেগে অজ্ঞান হয়ে গেছে। বালিতে পড়ে আছে সুজা। ডালটাও পড়ে রইল তার পাশে।
ওইদিকে জোয়ার এসেছে। পানি বাড়ছে। পানিতে পড়ে থাকা সুজার দেহটা পানির ধাক্কায় দুলতে শুরু করেছে।
ইতোমধ্যে বাকি সবাই খুঁজে খুঁজে জাহাজডুবি হওয়া কাউকে না পেয়ে বিফল হয়ে কটেজে ফিরে এলো। ভিজে চুপচুপে। ভেজা কাপড়গুলো তাড়াতাড়ি খুলে নিয়ে তোয়ালে দিয়ে ভালোমতো গা মুছে নিতে শুরু করল। শুকনো কাপড় বের করার জন্য সুটকেস খুলল। রেজা জিজ্ঞেস করল, ‘সুজা, আমার জাঙ্গিয়া নিয়েছ?’
জবাব নেই।
‘এই সুজা, কথা বলছো না কেন?’
‘থাকলে তো কথা বলবে,’ নেড বলল।
‘কোথায় ও?’ রিডের প্রশ্ন।
‘কী করে বলব?’
মেরুদণ্ডে শীতল শিহরণ বয়ে গেল রেজার। স্রোতের মধ্যে পড়েনি তো সুজা? সাগরে টেনে নেয়নি তো? তাহলে চিৎকার করেনি কেন? হয়তো করেছিল। বাতাস আর ঢেউয়ের গর্জনে শোনেনি কেউ।
‘এই জলদি চলো!’ রেজা বলল। ‘ওকে খুঁজে বের করতে হবে।’ ভেজা কাপড়গুলো পরে নিয়ে ঝড়ের মধ্যে ছুটে বেরিয়ে এলো আবার। বাকি সবাই অনুসরণ করল ওকে।

কতক্ষণ বেহুঁশ হয়ে ছিল জানে না সুজা। শুধু মনে আছে গাছের ডাল ভেঙে পড়ার শব্দ শুনেছিল। এখন কানে আসছে ঢেউয়ের গর্জন। নাকে-মুখে-কানে ঢুকে যাচ্ছে লবণাক্ত পানি। (চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement