২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

বায়ান্ন.

হঠাৎ পাশের ঝোপ থেকে বেরিয়ে লাফ দিয়ে সামনে এসে পড়ল একটা বিরাট পাখি। পাখিটার হাতে একটা লাঠি। বাড়ি মারার ভঙ্গিতে নাচাতে নাচাতে মানুষের কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল, ‘এই কে তোমরা? থামো বলছি!’
চমকে গেল রেজা। স্টিয়ারিংটা ঘুরে গেল তার হাতে। বহু কষ্টে সামলাল। আজব পাখিটাকে বাঁচাতে গিয়ে আরেকটু হলেই রাস্তার পাশে পড়ে যেত গাড়ি। জানালার কাছে এসে দাঁড়াল মূর্তিটা। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল রেজা। ভূতপ্রেত নয়। মানুষই। গায়ের ঢোলা রেনকোটটার কারণে পাখির মতো লাগছিল।
‘বেরোও এখান থেকে!’ চিৎকার করে উঠল লোকটা। ‘অনুমতি ছাড়া এখানে ঢোকা নিষেধ!’
‘মিস্টার কুনার, আমরা। আমি আলিশা,’ জানালার কাছে মুখ নিয়ে গেল সে। ‘ওরা আমাকে বাড়ি পৌঁছে দিতে এসেছে।’
সামান্যতম নরম হলো না বিড কুনারের কঠিন চোয়াল। চঞ্চল চোখের দৃষ্টি আলিশার ওপর স্থির হলো। ‘অ, তুমি,’ কর্কশ কণ্ঠস্বর। বোঝা গেল, মেয়েটাকে পছন্দ করে না সে। তবে লাঠিটা নামাল। ‘চোর পাহারা দিচ্ছিলাম। মিস গিমলারের বাড়িতে চুরি করতে প্রায়ই চোর ঢোকে। আমার জন্য পারে না।’
‘এই ঝড়ের মধ্যেও চোর আসবে নাকি?’ সুজার প্রশ্ন।
তেরছা চোখে ওর দিকে তাকাল কুনার। ‘এর চেয়ে ভালো সময় আর আছে নাকি? ওরা ভাববে, ঝড়বৃষ্টির মধ্যে আমি বাইরে বেরোব না। মিস গিমলারের হুকুম, এ সব দুর্যোগের সময়ই ভালো করে পাহারা দিতে হবে।’ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাত লম্বা করে ম্যানশনটা দেখাল সে। ‘যাও।’ (চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement