২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
কে কী কেন কিভাবে

রবার্ট ও’হারা বার্ক

-

আজ তোমরা জানবে রবার্ট ও’হারা বাক সম্পর্কে। অভিযাত্রী হিসেবেই তিনি খ্যাতিমান। লিখেছেন লোপাশ্রী আকন্দ
তোমরা কি জানো, ১৯ শতকের দ্বিতীয়ার্ধেও অস্ট্রেলিয়ার বিরাট এলাকা ছিল ইউরোপ, এশিয়া, আমেরিকা ও আফ্রিকার মানুষের কাছে অজানা? এ সময় অনেক বীর অভিযাত্রীর দুঃসাহসিক অভিযানের ফলে অস্ট্রেলিয়ার অনেক ভৌগোলিক রহস্য উন্মোচিত হয়Ñ এখানকার অনেক কথা জানতে পারে বিশ্বের মানুষ। এই অভিযাত্রীদের অনেকের স্থান হয় ইতিহাসের পাতায়। এদেরই একজন রবার্ট ও’হারা বার্ক।
আয়ারল্যান্ডের অধিবাসী এই ব্যক্তি প্রথমে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৮৫৩ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসী হন। তিনি মেলবোর্নে পুলিশ অফিসার হিসেবে কাজ করেন। অভিযাত্রী হিসেবেই তিনি খ্যাতিমান। উইলিয়াম জন উইলস, গ্রে ও কিংকে সাথে নিয়ে তিনি অভিযানে নামেন। অভিযানের প্রয়োজনে বার্ক সর্বপ্রথম অস্ট্রেলিয়ায় উট আমদানি করেন। ছ’টি উট, দু’টি ঘোড়া এবং ছ’মাসের খাদ্যসম্ভার নিয়ে শুরু হয় তাদের অভিযান। সামনে মরুভূমি, পাথুরে জমি, কখনো বা পাঁকে ভরা জলাভূমি। সব বাধা পেরিয়ে তারা কার্পেন্টারিয়া উপসাগরের দিকে অগ্রসর হন। সাগরের কাছে পৌঁছতে পারেননি তারা। ফ্লিন্ডার্স নদীর মুখে প্লাবনে পড়লেন অভিযাত্রীরা। এগোতে পারলেন না আর। খাদ্যাভাব দেখা দিলো। ফিরে এলেন তারা। উট জবাই করে এক মাস ধরে খেলেন। এরপর ঘোড়া জবাই করে খেতে হলো। গ্রে মারা গেলেন। বাকিরা অনেক কষ্টে ফিরে এলেন কুপার ক্রিকে। অভিযাত্রীরা একটা গাছের কাছে এলেন, দেখলেন গাছের গায়ে খোদাই করে লেখা উরম (খনন করো)। তারা খনন করে কিছু খাদ্য পেলেন। অন্য অভিযাত্রীরা হয়তো খাবার রেখে গেছেন। এরপর বার্কের দল চরম খাদ্যাভাবে শেষ উটটিও খেল। এ সময় উইলস পীড়িত হন। বার্ক ও কিং তাকে আট দিনের খাদ্য ও পানীয় দিয়ে চলে যান। বার্ক খোলা জায়গায় কঙ্কালসার হয়ে মারা যান। আদিবাসীরা কিংকে তাদের আস্তানায় নিয়ে যায় এবং সেবা করে। এরপর উদ্ধারকারী দল এসে তাকে উদ্ধার করে। ইতোমধ্যে উইলসও মারা যান। পরে তার লেখা ডায়েরি পাওয়া যায়। উদ্ধারকারী দল অভিযাত্রীদের মৃতদেহ উদ্ধার করে অ্যাডিলেডে নিয়ে যায়।
বার্কের জন্ম আয়ারল্যান্ডে, ১৮২০ সালের ৬ মে। মৃত্যু অস্ট্রেলিয়ার কুপার ক্রিকে, ১৮৬১ সালের ২৮ জুন। অনেক মানুষের কাছে এখনো তিনি স্মরণীয় ও বরণীয়।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট


আরো সংবাদ



premium cement