০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

তেরো.

‘এখনো আছে ওখানে?’ সুজা জিজ্ঞেস করল।
‘না। ওর পিছু নিয়ে নৌমে চলে গিয়েছিলাম। কিন্ত্র মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে আমাকে ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছে ও। সম্ভবত আমেরিকা থেকে বেরিয়ে গেছে। তবে গোপন ওই অস্ত্র নিয়ে শীঘ্রি আবার ফিরে আসবে।’
‘ওকে ঠেকানো দরকার,’ বিড়বিড় করল সুজা। ‘আলাস্কান পাইপলাইন ধ্বংস করে দিলে পৃথিবীর অন্যান্য তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তেলের বাজারে ভীষণ চাপ পড়বে, দাম বেড়ে যাবে অস্বাভাবিক হারে। তাতে করে আমাদের বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অর্থনীতিতে প্রচণ্ড আঘাত আসবে। সহ্য করা কঠিন হয়ে যাবে দেশগুলোর জন্য।’
‘ঠিক,’ গম্ভীর ভঙ্গিতে মাথা দোলালেন মুরাদ সাহেব।
‘ক্রুগো যে ফাঁকি দিচ্ছে না, কী করে শিওর হলে, বাবা?’ রেজা জিজ্ঞেস করল। রাস্তার দিকে চোখ। ‘ওরকম কোনো অস্ত্রের অস্তিত্বই হয়তো নেই।’
‘আমিও সেটা ভেবেছি,’ জবাব দিলেন মুরাদ সাহেব। ‘তবে অনেকগুলো কারণ বিবেচনা করে আমার মনে হচ্ছে অস্ত্রটা সত্যিই আছে তার কাছে। ক্রুগো খুব বড় মাপের অপরাধী নয়। চুরি-ডাকাতি-জালিয়াতি এ সবই করেছে এতকাল। আগে কখনো কোনো গুপ্তচরবৃত্তিতে জড়িত ছিল না। তারপরও তার ওপর চোখ পড়ল কেন বিদেশী সরকারের? কেন এত গুরুত্ব দিচ্ছে তাকে? এমন হতে পারে, অস্ত্রটা কোনখান থেকে চুরি করেছে সে। সেটা দেয়ার কথা বলে, বিদেশী সরকারের এজেন্টদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা আদায় করে নিয়ে আলাস্কা হতে গা ঢাকা দিয়েছে। অস্ত্রটা দিতে ফিরে আসবে আবার।’
(চলবে)

 


আরো সংবাদ



premium cement