০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫
`


কে কী কেন কিভাবে

ময়ূরকীট

-

আজ তোমরা জানবে ময়ূরকীট সম্পর্কে । এটি স্যাবেলিডি পরিবারভুক্ত কীট। পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরের উপকূলে এদের দেখা মেলে।
লিখেছেন মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ
ময়ূরকীট চেনো কি? এটি কি নাচে? সাগরের তলদেশে পেখম খোলা ময়ূরÑ এমন কথা শুনে হয়তো চমকে উঠবে অনেকেই। কারণ, ময়ূর বাস করে স্থলে। স্থলে বসে সে তার রঙিন পেখম মেলে নাচতে পারে। কিন্তু সাগরের তলদেশে! তাও আবার পেখম মেলে দিয়ে! ব্যাপারটা আসলেই চমকে ওঠার মতো। রহস্যজনকও বটে। তবে চমক অথবা রহস্যজনক যা-ই হোক, একধরনের সামুদ্রিক কীট রয়েছে, যারা ময়ূরের মতো পেখম খুলে বসে থাকে। এ কীটের নাম ময়ূরকীট। ইংরেজিতে পিকক ওয়ার্ম।
এরা এদের কর্ষিকাগুলো ময়ূরের লেজের মতো গুচ্ছাকারে মেলে ধরে। এ জন্যই এদেরকে ময়ূরকীট বলা হয়।
ময়ূরকীট স্যাবেলিডি পরিবারভুক্ত কীট। পশ্চিম ইউরোপ ও ভূমধ্যসাগরের উপকূলে এদের দেখা মেলে। এসব অঞ্চলের অগভীর স্রোতময় পানিতে এরা বসবাস করে।
ময়ূরকীট ১০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এদের দেহ ১০০ থেকে ৬০০ ছোট খণ্ডকে বিভক্ত। এদের পালকতুল্য কর্ষিকাগুলো মাথায় অবস্থান করে। এদের গায়ের রঙ প্রধানত ধূসর সবুজ। তবে কর্ষিকাগুলোর রঙ বাদামি, লাল অথবা রক্তবর্ণের হয়।
সমুদ্রের কিছু স্থানে এদেরকে মাত্র কয়েক মিটার গভীরতায় পাওয়া যায়। তবে ২০ মিটার গভীরতায় এদের বেশি দেখা যায়। ময়ূরকীটের বাসস্থান একটু ভিন্ন ধরনের। এরা কাদা, বালি ও মিউকাসের সমন্বয়ে তৈরী নলের মধ্যে বসবাস করে।
এ নলের এক প্রান্ত সমুদ্রের তলদেশের পাথর বা শিলাখণ্ডের সাথে সংযুক্ত থাকে। এ নলের দৈর্ঘ্য ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। যখন এ নল পানি দ্বারা পূর্ণ হয়, তখন এরা এদের কর্ষিকাগুলো মেলে দেয় এবং পানিতে ভাসমান খাদ্যকণা কর্ষিকা দিয়ে ধরে খায়। স্রোত কম থাকলে অথবা কোনো কারণে বিরক্ত হলে এরা এদের কর্ষিকাগুলো নলের মধ্যে গুটিয়ে নেয়। কোনো কিছুর নড়াচড়া অথবা হঠাৎ আলোর পরিবর্তন টের পেলেও এরা কর্ষিকা গুটিয়ে নেয়। খাবার ধরা ছাড়াও এরা এদের কর্ষিকাগুলোকে শ্বসনের কাজেও ব্যবহার করে।


আরো সংবাদ



premium cement