২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`
নগর

কাজান

-


আজ তোমরা জানবে কাজান সম্পর্কে । এটি রাশিয়ার ষষ্ঠ বৃহত্তম নগরী। তবে এটি তৃতীয় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। ভারী শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে এটি শুধু রাশিয়ারই নয়, বিশ্বের অন্যতম নগরী। কাজানের বেশির ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। বাকিরা খ্রিষ্ট, ইহুদি ও বাহাই ধর্ম অনুসরণ করে; নাস্তিকও আছে। লিখেছেন মুহাম্মদ রোকনুদ্দৌলাহ্
কাজান কী? রাশিয়ার একটি নগরী। শিল্প ও শিক্ষানগরী হিসেবে এর খ্যাতি আছে।
কাজান এক সময় কাজান খানেইটের রাজধানী ছিল। এ খানেইট ছিল খান বা বাদশাহ-শাসিত একটি মুসলিম রাজ্য। ১৫৫২ সালে এটি রুশ সাম্রাজ্যের অধীনে আসে।
বর্তমানে কাজান তাতারস্তান রিপাবলিকের রাজধানী। রাশিয়ায় বিশেষ ধরনের প্রদেশকে রিপাবলিক বলে।
কাজান নগরীর অবস্থান ভলগা ও কাজান্কা নদীর সংযোগস্থলে, রাশিয়ার ইউরোপীয় অংশে।
কাজান রাশিয়ার ষষ্ঠ বৃহত্তম নগরী। তবে এটি তৃতীয় অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। এ নগরে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। কাজান রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮০৪ সালে। কাজান রাষ্ট্রীয় প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কাজান রাষ্ট্রীয় চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয়সহ ৫৫টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এ নগরে।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির দিক দিয়েও কাজান অগ্রগামী। রুশ বিজ্ঞান একাডেমির বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র রয়েছে এখানে। ভারী শিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তির দিক দিয়ে এটি শুধু রাশিয়ারই নয়, বিশ্বের অন্যতম নগরী। এখানে সামরিক ও বেসামরিক বিমান তৈরির কারখানা আছে। অন্যান্য যন্ত্রপাতিও তৈরি করা হয়।
রুশ পেটেন্ট অফিস কাজানকে রাশিয়ার তৃতীয় রাজধানী হিসেবে ২০০৯ সালের এপ্রিলে ব্র্যান্ড করার অধিকার দিয়েছে।
কাজানের আয়তন প্রায় ৪২৫ বর্গকিলোমিটার। লোকসংখ্যা ১১ লাখের বেশি। নৃতাত্ত্বিক দিক দিয়ে নগরীর বেশির ভাগ মানুষ তাতার ও রুশ।
কাজান তাতারস্তানের সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। নগরের তাতাররা কথা বলে তাতার ভাষায়। রুশরা রুশ ভাষায়। তবে প্রায় সবাই রুশ ভাষা জানে।
কাজানের বেশির ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। বাকিরা খ্রিষ্ট, ইহুদি ও বাহাই ধর্ম অনুসরণ করে; নাস্তিকও আছে। এই নগরে সুন্দর সুন্দর মসজিদ, গির্জা এবং বিভিন্ন স্থাপনা রয়েছে।
১০০৫ সালকে কাজানের প্রতিষ্ঠাকাল ধরা হয়। ২০০৫ সালে নগরীর সহস্রাব্দ উদযাপন করা হয়েছে।
তথ্যসূত্র : ওয়েবসাইট

 


আরো সংবাদ



premium cement