ঊনপঞ্চাশ.
অবাক হয়ে ক্যাথির দিকে তাকিয়ে রইল দুই গোয়েন্দা। অবশেষে জিজ্ঞেস করল সুজা, ‘ড্রাগন?’
‘হ্যাঁ।’
‘আর কিছু মনে করতে পারবেন? ওরা দেখতে কেমন? ওদের নাম? একে অন্যকে নিশ্চয়ই নাম ধরে ডেকেছে ওরা?’
জবাব দেয়ার আগে ভেবে নিলো ক্যাথি। ‘এত দ্রুত ঘটে গেল সব, কিছু খেয়াল করারই সময় পাইনি। চেহারা দেখেছি, তবে ভালোমতো নয়। দু’জনের একজন লম্বা, চুল কালো। আরেকজন বেঁটে। এই বেঁটে লোকটাই আমাকে বেঁধেছে। গায়ে ভীষণ জোর।’
রেজার দিকে তাকাল সুজা। ‘মনে হচ্ছে আমি যার সাথে মারামারি করেছি, সেই লোকটা।’ ক্যাথিকে বলল, ‘কিন্তু লোক তো ছিল তিনজন। তৃতীয় লোকটাকে দেখেননি?’
‘না। সে পরে এসেছে,’ ভুরু কুঁচকে ভাবতে লাগল ক্যাথি। মনে করার চেষ্টা করছে। ‘দাঁড়াও দাঁড়াও, মনে পড়েছে। ফোন বাজতে শুনলাম। দু’জনের একজন গিয়ে ফোন ধরল। বোধহয় তৃতীয় লোকটার সাথেই কথা বলেছে।’
‘তাই নাকি? ফোন ধরেছে!’ অবাক হলো রেজা। ‘কিন্তু আমরা যে দুই-দুইবার ফোন করলাম, কেউ তো ধরল না!’
‘তার মানে ফোন বাজিয়ে সঙ্কেত দিয়েছে,’ ক্যাথি বলল। ‘তিনবার রিং হয়ে থেমে গিয়েছিল। মিনিটখানেক পর আবার বাজল। তখন দু’জনের একজন বলল : নিশ্চয়ই ব্রেট।’
‘ব্রেট,’ চিন্তিত ভঙ্গিতে বিড়বিড় করল সুজা।
‘যা হোক, একজন গিয়ে রিসিভার তুলে ওপাশের কথা শুনতে লাগল। কিছুক্ষণ পর বলল : ঠিক আছে, অ্যাম্বুলেন্সটার পিছু নিয়ে দেখো ওকে কোথায় নিয়ে যায়। বলে রিসিভার রেখে দিলো সে।’ (চলবে)
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা