০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


দুই গোয়েন্দার অভিযান

-

তৃতীয়
পর্ব
চার.

পরদিন খুব সকালে লূকের ছাউনিটা দেখতে চলল দুই গোয়েন্দা। বাতাসে ছাই আর পোড়া কাঠের ঝাঁজাল গন্ধ। প্রচণ্ড তাপে গলে বিকৃত, কালো হয়ে গেছে বড় বড় ক্যান। বিছানার একটা গদি, ¯িপ্রংগুলোই শুধু অবশিষ্ট আছে, কাপড়, রবার সব পুড়ে ছাই। পুরনো একটা স্নোমোবাইল, আগেই হয়তো ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল, এখন পোড়া দেহটা পড়ে আছে।
‘কী খুঁজছ?’ রেজাকে ছাদের একটা কড়িকাঠ সরাতে দেখে জিজ্ঞেস করল সুজা।
‘অস্বাভাবিক জিনিস,’ জবাব দিলো রেজা।
হাসল সুজা। ‘এখানে স্বাভাবিক কোনটা? সবই তো অস্বাভাবিক।’
মিনিট বিশেক খোঁজার পর হঠাৎ চেঁচিয়ে উঠল রেজা, ‘সুজা, দেখো!’
পুরনো মডেলের একটা অ্যালার্ম ঘড়ি দেখাল সে। চাবি ঘুরিয়ে দম দেয়া হতো।
‘স্নোমোবাইলটার মতোই আরেকটা জঞ্জাল,’ আগ্রহ দেখাল না সুজা।
‘তা ঠিক। কিন্তু আসল জিনিসটাই চোখে পড়েনি তোমার। বারো নম্বর লেখাটার ঠিক মাঝখানে একটা পিন ফুঁড়ে বেরিয়ে আছে। ঘণ্টার কাঁটা আর মিনিটের কাঁটা দুটোকেই একই জায়গায় আটকে দিয়েছে।’
‘আরে তাই তো!’ এতক্ষণে উৎসাহ দেখা গেল সুজার। ‘ব্যাটারিতে দুটো তার লাগিয়ে তারের এক মাথা মিনিটের কাঁটায়, আরেক মাথা ঘণ্টার কাঁটায় লাগিয়ে দিলে, বোমার টাইমার বানিয়ে ফেলা যায়।’
‘এ ধরনের ঘড়ি কোথায় দেখেছি আমি, তা-ও মনে পড়ছে,’ রেজা বলল। ‘লূক স্টার্লিংয়ের দোকানের তাকে।’ পোড়া ঘড়িটা দেখিয়ে বলল, ‘এটা কার কাছে বিক্রি করেছিলেন, মনে করতে পারবেন নিশ্চয়ই।’
(চলবে)


আরো সংবাদ



premium cement