২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যেকোন সময় বোর্ডের সঙ্গে বসতে পারি : সাকিব

- ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেটাররা ১৩ দফা দাবি সম্বলিত একটি চিঠি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) পাঠিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খানের মাধ্যমে এ চিঠি পাঠানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন খেলোয়াড়দের মুখপাত্র হিসেবে পরিয়চ দেয়া এই আইনজীবী।

এ সময় ১৩ দফা দাবি তুলে ধরেন ক্রিকেটারদের এই মুখপাত্র। সংবাদ সম্মেলনের একেবারে শেষ মুহূর্তে কথা বলতে আসেন তারকা খেলোয়াড় সাকিব আল হাসান। 

সাকিব বলেন, আমরাও দ্রুত সমাধান চাই এবং সবাই মিলে আলোচনা করে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। কারণ, আমরা মনে করি বোর্ডের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক আগের মতই রয়েছে। বোর্ড কর্মকর্তারা এবং আমরা মিলেই আসলে বিসিবি।

সুতরাং, কারো প্রতি আমাদের কোনো ক্ষোভ নেই, দুঃখ কিংবা বিরাগ নেই। আমরা কিছু যৌক্তিক দাবি তুলে ধরেছি এবং নিজেদের ঘুচিয়ে নেয়ার জন্য দেড়টা দিন সময় নিয়েছি। এখন আমরা যে কোনো সময় বোর্ডের সঙ্গে বসতে পারি।

সংবাদ সম্মেলনে পেশ করা ১৩ দফা দাবিগুলো হলো: 

১. বাংলাদেশ ক্রিকেটার ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশনে (কোয়াব) যারা আছে তাদের পদত্যাগ করতে হবে। একই দাবির আরেক অংশ হচ্ছে প্রফেশনাল ক্রিকেটার এসোসিয়েশন থাকবে। প্রফেশনালসরা এতে নির্বাচিত হবে। কাজ হবে ক্রিকেটারদের মানোন্নয়ন, পেশাদার ক্রিকেটারদের স্বার্থ সংরক্ষণ।

২. ঢাকা ক্রিকেট লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আগে যে অবস্থায় ছিল তাতে ফিরিয়ে নিতে হবে। বর্তমানে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ড্রাফ্ট সিস্টেমে আছে। কোন ক্লাবে খেলবে ক্রিকেটাররা পছন্দ করে যেতে পারতো আগে। এই ব্যবস্থায় ফিরে আসতে হবে।

৩. এ বছর না হলেও পরের বছর থেকে আগের মতো বিপিএল আয়োজন করতে হবে। স্থানীয় ক্রিকেটারদের ভিত্তিমূল্য বাড়াতে হবে।

৪. প্রথম শ্রেণির ম্যাচ ফি ১ লাখ করতে হবে। গোটা বছর কোচ-ফিজিও দিতে হবে। জাতীয় ক্রিকেট লিগে প্রতি বিভাগে অনুশীলনের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫. ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো মানের বল দিতে হবে। ডিএ ১৫০০ টাকায় কিছু হয় না, তাই বাড়াতে হবে। ট্রাভেলে বিমানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং ভালো মানের হোটেল হতে হবে।

৬. চুক্তিভুক্ত ক্রিকেটারের সংখ্যা ও বেতন বাড়াতে হবে।

৭. দেশি সব স্টাফের বেতন বাড়াতে হবে। কোচ থেকে গ্রাউন্ডস ও আম্পায়ার, সবার বেতন বাড়াতে হবে।

৮. ঘরোয়া ওয়ানডে বাড়াতে হবে। বিপিএলের আগে আরেকটি টি-টোয়েন্টির টুর্নামেন্টের আয়োজন করতে হবে।

৯. ঘরোয়া ক্যালেন্ডার নির্দিষ্ট করতে হবে।

১০. বিপিএলের পাওনা টাকা সময়ের মধ্যে দিতে হবে।

১১. ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দুটোর বেশি খেলা যাবে না, এই নিয়ম তুলে দিতে হবে। সুযোগ থাকলে সবাই খেলবে।

১২. ক্রিকেটের ব্যবস্থপনায় আমরা স্বচ্ছতা চাই। এর একটা ভাগ আমরা চাই।

১৩. বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল ভালো করছে। নারীদের ক্ষেত্রেও তাদের ন্যায্য হিসাব দিতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement