২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জিম্বাবুয়ের সফর : কী ধরনের পরিবর্তন হবে দলে?

মাশরাফি মর্তুজা - ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে ২১ অক্টোবর থেকে একটি সিরিজ খেলবে। যেখানে তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলবে দলটি।

বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ইনজুরিতে ভুগছেন। যাদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের মতো বড় ক্রিকেটারের নাম রয়েছে।

এশিয়া কাপের পর শোনা যাচ্ছিলো যে অনেকটা আনকোরা একটি দল দেয়া হতে পারে এবারের সিরিজে।

তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলছেন, এখানে সব কিছু মিলিয়ে সেরা দলটি নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ র‍্যাঙ্কিংয়ের ব্যাপার থাকে।

সেক্ষেত্রে ফর্মে থাকা ক্রিকেটারদের রাখা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লিটন দাস চার দিনের একটি ক্রিকেট ম্যাচে ১৪২ বলে ২০৩ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন।

মারকুটে এই ইনিংসে ৩২ টি চার ও ৪ টি ছক্কা হাকিয়েচেন তিনি। রাজশাহীতে রংপুর ও রাজশাহীর মধ্যকার ম্যাচে রংপুরের হয়ে এই ইনিংস খেলেন লিটন।

তবু কতটা শক্তিশালী দল গঠন করা সম্ভব?
"যেহেতু দুজন খেলোয়াড় এখন পুরোপুরি ইনজুরিতে আছেন, সে হিসেবে দল সাজানো হচ্ছে, তবে টেস্ট খেলুড়ে দল হিসেবে আমাদের এখন খেলোয়াড় আছে, ঘরোয়া ক্রিকেট থেকে ভালো ক্রিকেটারদেরই নেয়া হবে," বলছিলেন নান্নু।

তবে কিছু নতুন খেলোয়াড় নেয়ার কথাও বলেছেন প্রধান নির্বাচক।

মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, "চূড়ান্ত ঘোষণা না আসা পর্যন্ত নাম বলা যাবে না, তবে কিছু তো নতুন মুখ থাকবেই, তিনটি ম্যাচ রয়েছে, তিনটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।"

সেক্ষেত্রে মিজানুর রহমান ও শাদমান ইসলামের মতো নামগুলো আসতে পারে স্কোয়াডে।

দল ঘোষণার বিষয়ে আরো কিছু বিষয় মাথায় রাখছে নির্বাচক প্যানেল।

নান্নু বলেন, যেহেতু প্রথম শ্রেণির খেলা চলছে, এজন্য একটু আগেভাগে স্কোয়াড দেয়া হবে। কারণ জাতীয় লিগের অন্যান্য দলগুলোতে প্রভাব না পড়ে। সেক্ষেত্রে ওয়ানডে দলের জন্য ১৩ জনকে রেখে দুজনকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে।

এশিয়া কাপের দল থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন হওয়ার কথা বলেছেন মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।

তবে সেটা প্রথম শ্রেনির ক্রিকেট থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে না বলে জানিয়েছেন নান্নু। তিনি বলেন, "ফোর ডে ম্যাচের সাথে ওয়ানডের পার্থক্য রয়েছে, তাই এখানে ভালো পারফর্ম করলেই যে নেয়া হবে ব্যাপারটা এমন নয়।"

লিটনের বিধ্বংসী ব্যাটিং
বাসস
ব্যাট হাতে নিজের বিধ্বংসী রূপ দেখালেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ডান-হাতি ওপেনার লিটন দাস। জাতীয় ক্রিকেট লিগের ২০তম আসরের দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ১৪২ বলে ২০৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রংপুর বিভাগের এশিয়া কাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করা লিটন। তার ইনিংসের কল্যাণে রাজশাহীকে ভালোই জবাব দিচ্ছে রংপুর। দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৩১৯ রান করেছে রংপুর বিভাগ। ইনিংস হার এড়াতে ৮ উইকেট হাতে নিয়ে এখনো ১১৯ রান করতে হবে রংপুরকে। এর আগে প্রথম ইনিংসে রংপুরের ১৫১ রানের জবাবে ৪ উইকেটে ৫৮৯ রান করে রাজশাহী। প্রথম ইনিংসে ৪৩৮ রানের লিড পায় রাজশাহী।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দ্বিতীয় দিন শেষে ২ উইকেটে ৪১৯ রান সংগ্রহ ছিলো স্বাগতিকদের। দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ১৭৩ ও মিজানুর রহমান ১৬৫ রান করেন। ৩৯ রান নিয়ে দিন শুরু করে সেঞ্চুরির স্বাদ নেন জুনায়েদ সিদ্দিকীও। ইনিংস ঘোষনার সময় ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন জুনায়েদ। এছাড়া ফরহাদ হোসেন ৬২ ও জহিরুল ইসলাম ৫৫ রান করেন।

৪৩৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে রংপুর। ব্যাট হাতে রাজশাহীর বোলারদের উপর তান্ডব চালিয়েছেন লিটন। প্রথম ইনিংসে ১৭ রান করা লিটন খেলেছেন টি-২০ মেজাজে। শেষ পর্যন্ত ২০৩ রানে থামেন তিনি। তার ২২০ মিনিটের ইনিংসে ৩২টি চার ও ৪টি ছক্কা ছিলো। স্ট্রাইক রেট ১৪২ দশমিক ৯৫। চার বা পাঁচদিনের ম্যাচে এমন স্ট্রাইক রেট ঈর্ষণীয় ব্যাপার। দ্বিতীয় উইকেটে মাহমুদুুল হাসানের সাথে ২১৯ রান যোগ করেন লিটন। ৭২ রানে অপরাজিত আছেন লিটন।

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে এই স্তুরের আরেক ম্যাচে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে জিয়াউর রহমানের সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ৫০ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা। তৃতীয় দিন শেষে ৭ উইকেটে ৩৪৯ রান করেছে খুলনা। ১৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৪৬ বলে ১১২ রান করেন জিয়াউর। ৮১ রানে অপরাজিত আছেন আফিফ হোসেন।


আরো সংবাদ



premium cement