১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ জিলকদ ১৪৪৫
`


ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব আফগানিস্তানের শাহজাদকে

আফগানিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদকে আফগান প্রিমিয়ার লীগে ফিক্সিং করার প্রস্তাব দিয়েছে জুয়ারিরা। - ছবি: সংগৃহীত

ফিক্সিংয়ের অভিশাপ থেকে বেরোতেই পারছে না ক্রিকেট। চলতি এশিয়া কাপেই ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন আফগানিস্তানের তারকা ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ। তবে সেটা তিনি সঙ্গে সঙ্গেই জানিয়ে দিয়েছেন টিম ম্যানেজম্যান্টকে।

এশিয়া কাপের মধ্যে প্রস্তাব দেয়া হলেও শাহজাদকে অবশ্য এই টুর্নামেন্টে কিছু করতে বলেনি জুয়াড়িরা। আগামী ৫ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে আফগান প্রিমিয়ার লিগ। এবারই প্রথমবারের মতো বসছে আসরটি। এতে স্পট ফিক্সিংয়ের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তাকে। শাহজাদ প্রস্তাব পেয়ে টিম ম্যানেজম্যান্টকে জানিয়েছেন। তারা সেটা জানিয়েছে আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে। এখন আইসিসিই পুরো বিষয়টি তদন্ত করবে।


আফগান প্রিমিয়ার লিগে শাহজাদের দলের নাম পাকতিয়া। এই টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিশ্বের নামকরা কয়েকজন খেলোয়াড়ও অংশ নেবেন। এদের মধ্যে আছে ক্রিস গেইল, শহীদ আফ্রিদি, আন্দ্রে রাসেল, ব্রেন্ডন ম্যাককালামের মতো নাম। আছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহীম আর তামিম ইকবাল।

আইসিসির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'চলতি এশিয়া কাপে একটা প্রস্তাব পাওয়ার কথা জানা গেছে। তবে সেটা তাদের (আফগানিস্তানের) নিজস্ব টি-টোয়েন্টি লিগের জন্য। শনিবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এই বিষয়টা আমরা অবহিত হয়েছি। দুর্নীতি দমন ইউনিট সেটা খতিয়ে দেখছে।'

সোমবার দুবাইয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল নিশ্চিত করেছেন, গত ১২ মাসে কমপক্ষে পাঁচজন আন্তর্জাতিক অধিনায়ক ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েছেন। তাদের মধ্যে চারজন পূর্ণ সদস্য দেশের। একমাত্র পাকিস্তানের সরফরাজ আহমেদ তার প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি লোকসম্মুখে প্রকাশ করেন।

আরো পড়ুন: মাহমুদউল্লাহ-ইমরুল যেভাবে উড়িয়ে দিলেন রশিদ খানকে

নয়া দিগন্ত অনলাইন,২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৩:২৭

প্রাথমিক বিপর্যয় সামলে তৃতীয় উইকেটে বেশ ভালোভাবেই এগুচ্ছিলেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন কুমার দাশ। দুজন মিলে ৬৩ রানের জুটি গড়েন। এরপরই একটা ঝড় বয়ে যায়। তিন ওভারের ছোট্ট ঝড়। এতে ২ উইকেটে ৮১ থেকে ক্ষণিকের ঝড়ে ৫ উইকেটে ৮৭ রানের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ।

রশিদ খান ও মুজিব উর রহমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে স্বল্প রানে অলআউটের শঙ্কা জাগে টাইগার শিবিরে। সেখান থেকেই দলকে উদ্ধার করেন ফিনিশার খ্যাত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও প্রায় ১১ মাস পরে জাতীয় দলে ফেরা ইমরুল কায়েস। তারা দুইজন ষষ্ঠ উইকেটে ইতিহাস গড়েন। দলের চাহিদা মোতাবেক খেলে দুজন মিলে উইকেটে কাটিয়ে দেন প্রায় ২৫ ওভার। স্কোরবোর্ডে যোগ হয় মহামূল্যবান ১২৮ রান।

বাংলাদেশের ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটের সর্বোচ্চ রানের জুটি হলো এটি। বোলারদের ন্যুনতম সুযোগ না দিয়েই ধীরে-সুস্থে পরিস্থিতি বুঝে খেলতে থাকেন দু‘জন। প্রায় এগারো মাস ওয়ানডে খেলতে নেমে ইমরুলও দেন দারুণ দায়িত্বশীলতার পরিচয়।

রানরেটের দিকে না তাকিয়ে দুজন মিলে যতটা সম্ভব বেশিক্ষণ ব্যাটিং করার দিকেই মনোযোগী। যার ফলশ্রুতিতে হয়ে যায় ১২৮ রানের জুটি। বাংলাদেশ পেয়ে যায় ২৪৯ রানের লড়াকু। ম্যাচ শেষে মাহমুদউল্লাহ জানিয়েছেন উইকেটে থাকাকালীন একদম শেষপর্যন্ত খেলার পরিকল্পনাই করেছিলেন দুজন।

এর মধ্যে মাহমুদউল্লাহ ও ইমরুল আফগান ডেঞ্জারম্যান খ্যাত রশিদ খানের উপর বেশ চড়াও হন। মাত্র চারদিন আগেই বাংলাদেশকে হারিয়ে নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন রশিদ খান। সেই রশিদ খানের ওভারেই বেশ কয়েকটি বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি হাকান। আর অধিকাংশ রানই আসে রশিদ খানের শেষ তিন ওভারে।

ম্যাচ শেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচসেরার পুরষ্কার গ্রহণ করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, রশিদ খান অসাধারণ বোলার কিন্তু এমন না যে তাকে খেলা যাবে না। রিয়াদ আরো বলেন, আমি এর আগে তাকে ঠিক মতো খেলতে পারি নাই। কিন্তু আমরা দুজনে ঠিক করলাম তাকে উইকেট দিব না। আমরা চেয়েছিলাম আরো গভীরে যেতে এবং এর শেষটা দেখতে। শেষ পর্যন্ত আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছেছি।

মাহমুদউল্লাহ রশিদ খান সম্পর্কে বলেন, তার সম্পর্কে ভাবার সময় ছিল না আমাদের কারণ শেষ চারদিনে আমরা তিনটি ম্যাচ খেলেছি। আমি তার সাথে খেলেছি কোন কিছু না জেনেই।

নিজেদের জুটি সম্পর্কে মাহমুদউল্লাহ বলেন, এটা ছিল যার যার ব্যক্তিগত পরিকল্পনা। কারণ ইমরুল অভিজ্ঞতা সম্পন্ন খেলোয়ার। আমরা চেয়েছিলাম আমাদের পরিকল্পনা মাফিক তাকে খেলাতে। সে মাত্র গতকালই (খেলার একদিন আগে) এসেছে এবং এই গরমে সে যেভাবে খেলল তাকে নিয়ে আমি গর্বিত। সে পূর্বে কখনো ছয় নাম্বারে ব্যাটিং করেনি, ও হলো টপঅর্ডারের ব্যাটসম্যান, তার জন্য ছয় নাম্বারের ব্যাটিং করা অন্যরকম।

পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ম্যাচসেরার পুরষ্কার গ্রহণ করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘আবহাওয়া প্রচন্ড গরম ছিল এবং উইকেটে থাকাকালীন মনে হচ্ছিল কেউ ভেতরের সকল পানি শুষে নিচ্ছে। তবে শেষপর্যন্ত আমরা ভালো করেছি, জয়ের পুরো কৃতিত্ব মোস্তাফিজের। আমরা জানতাম যে তাদের অনেক বিগ হিটার আছে এবং স্নায়ু চাপ দারুণভাবে সামাল দিতে পারে। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরাই জয়ীর কাতারে।’

‘দলের জন্য অবদান রাখতে পারাটা সবসময়ই আনন্দের উল্লেখ করে মাহমুদউল্লাহ বলেন, আমি ও ইমরুল দারুণ ভালো জুটি গড়েছি। আমরা চেষ্টা করছিলাম একদম শেষপর্যন্ত খেলার। তবে শেষে এই জয়ের কৃতিত্ব পুরোপুরি বোলারদের, তারা দারুণভাবে এটি ডিফেন্ড করেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে আমাদের সেরা খেলাটাই খেলতে হবে।’

ব্যাট হাতে ৭৪ রানের ইনিংস খেলা মাহমুদুল্লাহ অবদান রেখেছেন বল হাতেও। আফগান ইনিংসের ২৫তম ওভারে আক্রমণে এসে চতুর্থ বলেই ফিরিয়ে দেন ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শেহজাদকে। পাঁচ ওভার বোলিং করে খরচ করেন মাত্র ১৭ রান। 

আরো পড়ুন:  ইমরুল-মাহমু্দউল্লাহ যে রেকর্ড ভাঙলেন  

নয়া দিগন্ত অনলাইন, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১২:১৪

ইমরুল বেশ কয়েক মাস জাতীয় দলের বাইরে। দলের প্রয়োজনে মাঝে-মধ্যে ডাকা হয় তাকে। তামিমের সাথে ওপেনিং জুটিতে বেশ কয়েকটি রেকর্ড রয়েছে তার। কিন্তু দলে কিছুটা অনিয়মিত ছিলেন। পজিশনসহ আরো বেশ কিছু কারণ দেখিয়ে ইমরুলকে দলের বাহিরে রাখা হয়।

বাংলাদেশ আফগানিস্তানের সাথে ৩ রানের ব্যবধানে জিতেছে। ২৪৯ রানের লড়াই করার মতো পুজিঁটা এসেছে ইমরুল-মাহমুদউল্লাহর জুটিতে। বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরানো সেই লড়াইয়ের মধ্যেই ১৯ বছরের একটা রেকর্ডও ভেগেছেন তারা। গড়েছেন ১২৮ রানের জুটি। ওয়ানডেতে ষষ্ঠ উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান ।

বলা হয় রেকর্ড গড়াই হয় সেটা ভাঙ্গার জন্য। ১৯৯৯ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ২৯৩ রান লক্ষ্য দেয় ব্রায়ান লারার ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর সেদিন আল শাহরিয়ার ও খালেদ মাসুদ পাইলটের ষষ্ঠ উইকেটে যে লড়াইটা চালান, সেটি দলকে দুর্দান্ত কোনো জয় এনে দেয়নি। তবে হারের ব্যবধান কমায়। ক্যারিবীয়দের লক্ষ্যটা আরও বিশাল হয়ে যায় ৯৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেটে শাহরিয়ার-মাসুদের ১২৩ রানের সৌজন্যে পুরো ৫০ ওভার খেলে ৫ উইকেটে ২১৯ করতে পারে বাংলাদেশ।

ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সেরা পাঁচ জুটির চারটিতেই আছে মাহমুদউল্লাহর নাম। নিয়মিত ছয়-সাতে নামেন বলেই হয়তো ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে থাকে তার নাম। আজকের জুটিটা ইমরুল-মাহমুদুল্লাহর কাছে বিশেষভাবে মনে থাকবে, কারণ এশিয়া কাপে টিকে থাকার লড়াই ছিল এই ম্যাচ, আত্মবিশ্বাস ফিরে পাবার ম্যাচ ছিল এটা।


আরো সংবাদ



premium cement
রশিতে কুবি ভিসির কুশপুত্তলিকা ঝুলালো শিক্ষক সমিতি! দেশে আরেকটি ডামি নির্বাচন হচ্ছে : রিজভী ‘আমার আর থাহার কোন জাগা নাইরে বাজান!’ তামিমের দ্বিতীয় ফিফটি, বড় সংগ্রহের ভিত গড়ছে বাংলাদেশ বাংলাদেশের জন্য মনোনীত মার্কিন বিশেষ রাষ্ট্রদূত মিল আগে যেসব দায়িত্ব পালন করেছেন বান্দরবানে কেএনএফের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন বম উজিরপুরে বিশ্বনবীকে কটূক্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল তামিমের ব্যাটে বাংলাদেশের উড়ন্ত শুরু নাটোরে এক প্রার্থীর সমর্থককে মারপিট করায় অপর প্রার্থী গ্রেফতার বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অবসরে নিউজিল্যান্ডের ওপেনার কক্সবাজারে ৩ উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ

সকল