২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

যে কৌশলে বাজিমাত করলেন শোয়েব মালিক

ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার হাতে শোয়েব মালিক - ছবি : সংগ্রহ

টান টান উত্তেজনার এক ম্যাচ জিতেছে পাকিস্তান। অপেক্ষাকৃত নতুন দল হলেও আফগানিস্তান দারুণ লড়াই করেছে। শেষ ওভারে মীমাংসা হওয়া এই ম্যাচ পাকিস্তান জিতেছে শোয়েব মালিকের বীরত্বে। একের পর এক উইকেট পড়লেও অভিজ্ঞ শোয়েব মালিক এক প্রান্তে ছিলেন অবিচল।

এবারের এশিয়া কাপে এই ম্যাচের আগে কোন ম্যাচেই এতটা উত্তেজনা ছিলো না, আফগানিস্তানের দেয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে পৌছতে পাকিস্তানকে খেলতে হয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। ম্যাচে এতটাই দোদুল্যমান পরিস্থিতি ছিল যে, যে কোন দল জিততে পারতো। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তান হেরে গেছে শোয়েব মালিকের কাছে।

ধৈর্য্য আর নিষ্ঠার সাথে ম্যাচটা শেষ করেই ফিরেছেন সাবেক এই অধিনায়ক। একটি বারের জন্যও তাকে দেখা যায়নি রানের জন্য মরিয়া হয়ে ব্যাটিং করতে, শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত তার ৪১ রানের মধ্যে ছিলো মাত্র ২টি চার- এথেকেই বোঝা যায় কতটা ধৈর্যের সাথে খেলেছেন মালিক। শেষ ওভারে এসে যখন প্রায়োজন- পরপর দুই বলে ছক্কা আর চারে ম্যাচ শেষ করেছেন। তাড়াহুড়ো না করেও কিভাবে ক্লোজ ম্যাচ শেষ করতে হয় সেটাই যেন দেখালেন মালিক।

মাচের পর ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার নিতে এসে শোয়েব মালিক জানিয়েছেন তার সেই কৌশলের কথা। তিনি বলেন, ‘একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে আমি জানতাম যে অবস্থায় ব্যাটিং শুরু করেছি সেখানে দলের পরিস্থিতি কেমন ছিলো। সেখান থেকে পঞ্চাশ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করাই ছিলো আমার লক্ষ্য। আমি নিজেকে শুধু এটাই বলেছি যে, পঞ্চাশ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করতে হবে। একটা সময় আস্কিং রান রেট দশের উপরে উঠে গেছে কিন্তু আমি আমার লক্ষ্য থেকে সরিনি। কারণ শেষ দিকে বড় শট খেলার মতো ব্যাটসম্যান আছে আমাদের। শেষ পর্যন্ত আফগানিস্তানাই পিছিয়ে পড়লো। একজন অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে তাদের হারিয়ে দেয়া যায়। তবে আমি ধন্যবাদ জানাই আফগানদের- দলটি দিন দিন উন্নতি করছে।

এই ম্যাচে শেষ ছয় ওভারে পাকিস্তানের দরকার ছিলো ৪৯ রান। ৪৫তম ওভারে আউট হয়ে যান সরফরাজ আহমেদ। শেষ চার ওভারে দরকার ছিলো ৩৯ রান, ৪৭তম ওভারে রশিদ খান এসে আসিফ আলীর উইকেট তুলে নিলেও রান দিয়েছেন ১০টি। পরের ওভারে আফতাব দিয়েছেন ১১ রান। ম্যাচ ঝুলে পড়ে পাকিস্তানের দিকে। ৪৯তম ওভারে আবার নওয়াজের ‍উইকেট তুলে নেন রশিদ, তবে রান খরচ করেন ৮টি। শেষ ওভারে সামনে আসে ১০ রানের সমীকরণ। শোয়েব মালিক স্ট্রাইক নেন। প্রথম বলে সিঙ্গেল নেয়ার সুযোগ থাকলেও নেননি। পরের বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে গ্যালারিতে আছড়ে ফেলেন আফতাব আলমকে। পরের বলেই স্কয়ার লেগ দিয়ে চার।

এর আগে পাকিস্তানের টপ অর্ডারে ইমাম উল হক ও বাবর আজম ইনিংস গড়ে দিয়েছেন। ওপেনার ফখর জামান শূন্য রানে ফিরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় উইকেটে তারা গড়েছেন ১৫৪ রানের জুটি। কিন্তু চার রানের মধ্যে ইমাম(৮০) ও বাবরকে ফিরিয়ে ম্যচ জমিয়ে তোলে আফগানিস্তান। একের পর এক উইকেট গেলেও শেষ পর্যন্ত শোয়েব মালিক ম্যাচ শেষ করেই ফিরেছেন। মালিক অপরাজিত ছিলেন ৪৩ বলে ৫১ রান করে। এক ছক্কা আর তিন চার ছিলো তার ইনিংসে।

আরো পড়তে ক্লিক করুন:

এশিয়া কাপের দলে হঠাৎ সৌম্য, ইমরুল

টানটান উত্তেজনার ম্যাচে পাকিস্তানের জয়


আরো সংবাদ



premium cement