২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`

টেস্টে এ কী হাল আফগানিস্তানের

টেস্টে এ কী হাল আফগানিস্তানের - সংগৃহীত

টি-২০ ও একদিনের আন্তর্জাতিকে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখালেও, টেস্ট ম্যাচের শুরুটা ভালো করতে পারল না আফগানিস্তান। বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথম টেস্টে মাত্র দু’দিনেই ভারতের বিরুদ্ধে ইনিংস ও ২৬২ রানে হেরে গেলেন রশিদ খান, মুজিব উর রহমানরা। ভারতের হয়ে শতরান করেন দুই ওপেনার শিখর ধবন ও মুরলী বিজয়। প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেট নেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। দ্বিতীয় ইনিংসে আবার রবীন্দ্র জাডেজা ৪ উইকেট নিলেন। টেস্টে ১০০ উইকেট হয়ে গেল উমেশ যাদবের।

আজ শুক্রবার ভারতের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৪৭৪ রানে। হার্দিক পান্ড্যর ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে সাড়ে ৪০০ রানের গণ্ডি টপকে যায় ভারত। সতর্কতার সঙ্গে খেললেও হার্দিকের ইনিংসে ছিল স্ট্রোকের ফুলঝুরি। নবম উইকেটের পতনের পর খেলতে নেমে উমেশ যাদব ২১ বলে ২৬ রানের ইনিংস খেলে দর্শকদের মনোরঞ্জন করেন। হার্দিক টেস্ট ক্রিকেটে তাঁর তৃতীয় হাফসেঞ্চুরি করলেন। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ভারত ১২২ রান তোলে। আফগান অধিনায়ক আশগর স্ট্যানিকজাই নতুন বল নেননি। হার্দিক ৯১ বল খেলে ১০ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭১ রান করেন। হাতে বেশি উইকেট না থাকায় বিবেচনা অনুযায়ী শট বাছাই করেছেন ভারতের এই অলরাউন্ডার। খারাপ বলের জন্য অপেক্ষা করেছেন। আবার একেবারে ব্যাকরণ মেনে ডিফেন্স করেছেন।

অশ্বিন অত্যন্ত খারাপ শট খেলে আউট হন। পেসার ইয়ামিন অহমদজাই (১৯ ওভারে ৩/৫১)-এর বল তাড়া করে কট বিহাইন্ড হন তিনি। তিনি করেন ১৮ রান। অশ্বিন আউট হয়ে যাওয়ার পর আক্রমণাত্মক মেজাজে খেলার সিদ্ধান্ত নেন হার্দিক। রবীন্দ্র জাদেজা (২০)-র সঙ্গে জুটি বেঁধে একের পর এক বাউন্ডারি মারেন তিনি। জাদেজা মোহাম্মদ নবিকে একটা ছক্কা মারেন। কিন্তু ফের তুলে মারতে গিয়ে উইকেট খোয়ান তিনি। হার্দিক-জাদেজা জুটিতে যোগ হয় ১৩ ওভারে ৬৭ রান। রশিদ খান (৩৪.৫ ওভারে ২/১৫৪)-কে পর পর বাউন্ডারি মেরে নিজের পরিকল্পনা স্পষ্ট করে দেন হার্দিক। এছাড়াও এক ও দুই রান নিয়ে স্কোরবোর্ড সচল রাখার দিকেও মন দেন হার্দিক। শেষ পর্যন্ত কট বিহাইন্ড আউট হন তিনি। এরপর উমেশ ব্যাট করতে নেমেই ওয়াফাদারের বলে বাউন্ডারি মারেন। ইশান্তকে রশিদ খান আউট করে ভারতীয় ইনিংসের যবনিকা টেনে দেয়ার আগে দুটি ছক্কাও মারেন উমেশ।

প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। ভারতের পেস ও স্পিন আক্রমণের সামনে সেভাবে লড়াই করতে পারেনি আফগান ব্যাটিং ব্রিগেড। শুরুতেই পর পর উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় আফগানিস্তান। সেই চাপ থেকে তারা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। মাত্র ৫০ রানেই গুটিয়ে গলে তাদের অর্ধেক ইনিংস। দলের ১৫ রানের মাথায় রান আউট হয়ে যান মহম্মদ শাহজাদ (১৪)। এরপর জাভেদ আহমদিকে তুলে নেন ইশান্ত শর্মা। ২১ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় আফগানিস্তান। দলের ৩৫ রানে উমেশের বলে ১৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন রহমত শাহ। ৩৫ রানেই ফের উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ইশান্তের বলে আউট আফসর জাজাই। পরে স্টানিকজাইকে আউট করেন অশ্বিন। ৫০ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন হয়। ৫৯ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন। অশ্বিনের বলে আউট হাশমতুল্লা শাহিদি (১১)। ৭৮ রানের মাথায় জাডেজার বলে আউট হব রশিদ খান। ৮৭ রানে অষ্টম উইকেটের পতন। অশ্বিনের বলে আউট ইয়াসিন আহমদজাই। এরপর ৮৮ রানে নবম উইকেট পড়ে। অশ্বিনের বলে আউট হন মহম্মদ নবি। তিনিই দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৪ রান করেন। জাডেজা মুজিবর রহমানকে আউট করে আফগান ইনিংস খতম করেন। মুজিব করেন ১৫ রান। ভারতের হয়ে অশ্বিন চার, জাদেজা ও ইশান্ত দুটি করে এবং উমেশ একটি উইকেট নেন।

প্রথম ইনিংসের মতোই দ্বিতীয় ইনিংসেও আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। এই ইনিংস শেষ হল মাত্র ১০৩ রানে। ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন শাহিদি। স্টানিকজাই করেন ২৫ রান। জাডেজার চার উইকেটের পাশাপাশি ইশান্ত দুটি, উমেশ তিনটি এবং অশ্বিন শেষ উইকেটটি নেন।

 


আরো সংবাদ



premium cement