২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

জবির পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত

-

রাজধানীর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) পরিসংখ্যান বিভাগে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছিলেন ৮১ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ১৭ জনই অকৃতকার্য হয়েছেন। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষা দিয়েও অকৃতকার্য হয়েছেন প্রায় এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী। এর মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী তাদের ছাত্রত্ব হারাচ্ছেন। সব বিষয়ে পাস করছেন ৫৫ জন।
সংশ্লিষ্ট বিভাগের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের প্রতি যথাযথ মনোযোগ না দেয়াতেই এ ফল বিপর্যয় ঘটেছে। বিশেষ করে প্রশ্ন মডারেশনের নামে জটিল জটিল বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্নপত্র তৈরি করেন। সারা দিন পড়াশোনা করেও শিক্ষকদের আন্তরিকতার অভাবে ফেল করতে হয়। এ ছাড়া কোনো কোনো শিক্ষক ইচ্ছে করে ফেল করিয়ে দেন।
এ ছাড়াও প্রতিবার চূড়ান্ত পরীক্ষার সাথে আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মানন্নোয়ন পরীক্ষা দেয়া নজিরবিহীন। এবার মূল পরীক্ষার্থীদের সাথে ৫১ জন ফেল করা বিষয়ে মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। তার মধ্যে ২৫ জন পাস করেছেন। বাকিরা আবারো ফেল করেছেন। এর আগেও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের প্রথম সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হয় গত বছরের জুলাই মাসে। এতে অংশ নেয়া ৮২ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬০ জন অকৃতকার্য হয়েছেন। সব কোর্সে উত্তীর্ণ হয়েছেন মাত্র ২২ জন। তাদের গড় সিজিপিএ মাত্র ২.১৫। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছেন ‘লিনিয়ার অ্যালজেবরা’ কোর্সে।
তবে লিনিয়ার অ্যালজেবরা কোর্সের শিক্ষক বলেন, ‘প্রথম সেমিস্টারে ভর্তি হয়েই বেশির ভাগ শিক্ষার্থী মেডিক্যাল বা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়। বিভাগের পড়াশোনায় তেমন মনোযোগী হয় না। ফলে প্রথম সেমিস্টারে অনেকেই অকৃতকার্য হয়।’
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি স্নাতকোত্তর ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল দেয়া হয়। সেখানেও ঘটেছে ফল বিপর্যয়। ওই পরীক্ষায় দ্বিতীয় সেমিস্টারে কোর্স ছিল ছয়টি। এর মধ্যে অনেকেই গড়ে দুই থেকে তিনটি কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছেন। বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের আবার সবগুলো কোর্সে পরীক্ষা দিতে হবে। এর প্রতিবাদে গত ২০ ফেব্রুয়ারি ভিসি বরাবর লিখিত আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা।
দেখা গেছে, চূড়ান্ত পরীক্ষায় একসাথে এত শিক্ষার্থীর অকৃতকার্যের বিষয়টি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নজিরবিহীন। এ ছাড়া প্রতিটি চূড়ান্ত পরীক্ষায় বেশিসংখ্যক মানোন্নয়ন পরীক্ষার্থীও নজিরবিহীন। বারবার মানোন্নয়ন পরীক্ষা দিয়েও কাক্সিক্ষত ফল পাচ্ছে না ছাত্ররা। বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত।
বিভাগের চেয়ারম্যান ড. ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘পাঠদানে বিভাগের সব শিক্ষকই আন্তরিক। যারা পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে তাদের অনেকেই নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘শিক্ষকেরা ফাঁকি দেন না। পড়া বুঝতে না পারা শিক্ষার্থীদেরই ব্যর্থতা।’
আবার পরীক্ষা দেয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে এম আক্তারুজ্জামান নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সিজিপিএ-২.২৫ থাকলে সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। কম হলে পরবর্তী সেমিস্টারের সাথে আবার ভর্তি হতে হবে।’
এ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদ্ধতি অনুযায়ী কোনো শিক্ষার্থী প্রথম সেমিস্টারে অকৃতকার্য হলে তাকে পরবর্তী ব্যাচের সাথে আবার পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এরপর যদি আবার অকৃতকার্য হন তাহলে তার ভর্তি বাতিল হয়ে যাবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ১৩ বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকের চাপায় নিহত ৩ ফিলিস্তিনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভে উত্তাল পূর্ব আফ্রিকায় প্রবল বৃষ্টি ও বন্যা, কমপক্ষে ১৫৫ জনের প্রাণহানি সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে প্রশ্নবিদ্ধ তথ্য প্রচারের নিন্দা ডিআরইউর ভয়াবহ দুর্ঘটনা, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উগ্র ইসরাইলি মন্ত্রী শেরে বাংলার সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন হাত কাটা বন্দীর নেতানিয়াহুর সমালোচনা ইসরাইলের আলটিমেটাম, যা বলল হামাস রাশিয়ার প্রতি চীনের সমর্থনের বিরুদ্ধে ব্লিংকেনের হুঁশিয়ারি ইতিহাস গড়া জয় পেল পাঞ্জাব

সকল