২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

পুঁজিবাজারে থেমে যাওয়া দরপতন ফের শুরু

সি পার্ল বিচ রিসোর্টের আইপিও শুরু
-

থেমে যাওয়া দরপতন ফের শুরু হয়েছে পুঁজিবাজারে। গতকাল মঙ্গলবার দেশের দুই পুঁজিবাজারেই বড় দরপতনের ঘটনা ঘটে। এর আগে টানা দুই কর্মদিবস সূচকের কমবেশি উন্নতি ঘরে রাখে পুঁজিবাজারগুলো। গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে বিক্রয়চাপের ফলে সৃষ্ট পতন অব্যাহত ছিল লেনদেন শেষ হওয়া পর্যন্ত। এ সময় উভয় বাজারেই লেনদেন হওয়া কোম্পানির প্রায় ৭৮ শতাংশ দরপতনের শিকার হয়। হ্রাস পায় বাজারগুলোর লেনদেনও।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স গতকাল ৬২ দশমিক ৮৭ পয়েন্ট হ্রাস পায়। ৫ হাজার ৩২৩ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট থেকে দিন শুরু করা সূচকটি দিনশেষে নেমে আসে ৫ হাজার ২৬০ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে। একই সময় ডিএসই-৩০ ও ডিএসই শরিয়াহ সূচকের অবনতি ঘটে ২০ দশমিক ২১ ও ১৫ দশমিক ৭৯ পয়েন্ট। এর আগে গত দুই কর্মদিবসে প্রধান সূচকটির প্রায় ৬৩ পয়েন্ট উন্নতি ঘটে।
দেশের দ্বিতীয় পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক ও সিএসসিএক্স সূচকের অবনতি ঘটে ১৪৮ দশমিক ৬২ ও ৯১ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট। এখানে সিএসই-৫০ ও সিএসই শরিয়াহ সূচক হারায় ১০ দশমিক ০৮ ও ১০ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি অবনতি ঘটে দুই পুঁজিবাজারের লেনদেনের। ঢাকা শেয়ারবাজার এদিন ২৯৮ কোটি টাকার লেনদেন নিষ্পত্তি করে যা আগের দিন অপেক্ষা ৫৩ কোটি টাকা কম। গত রোববার ডিএসইর লেনদেন ছিল ৩৫১ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম শেয়ারবাজারে ১৮ কোটি টাকা থেকে ১২ কোটিতে নেমে আসে লেনদেন।
থেমে যাওয়া পতন ফের শুরু হওয়ার কারণ হিসেবে পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা চিহ্নিত করেছেন সোমবার বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে দেয়া অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যকে। তারা বলেন, গত কিছু দিনের টানা দরপতন পুঁজবাজারের মূল্যস্তরকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল যেখান থেকে বাজারের ঘুরে দাঁড়ানোর বিকল্প ছিল না। এ কারণে গত দু’টি কার্যদিবস সূচকের উন্নতি ধরে রাখে পুঁজিবাজারগুলো। কিন্তু সোমবার অর্থমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য হতাশ করে বিনিয়োগকারীদের। সামনের দিনগুলোতে বাজার আরো খারাপের দিকে যেতে পারে এমন ধারণা থেকেই গতকাল লেনদেনের শুরু থেকে বিক্রয়চাপের তীব্রতা বাড়ে। যেখানে বাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব মহল চলমান সঙ্কট নিরসনে অর্থমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে আসছিলেন সেখানে তার এ ধরনের বক্তব্য যথাযথ ছিল না বলেই মনে করেন তারা। কারণ এর ফলে বাজারে আতঙ্কও তৈরি হতে পারে।
এদিকে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) চাঁদাগ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হওয়ার ঘোষণা দেয়া হলেও শবেবরাতের ছুটির কারণে গতকাল সকাল থেকে চাঁদা জমা দেয়া শুরু হয়। চলবে ৬ মে পর্যন্ত।
এর আগে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৭৬তম কমিশন সভায় কোম্পানিটির আইপিও অনুমোদনের সিদ্ধান্ত হয়। পুঁজিবাজার থেকে আইপিওর মাধ্যমে ফিক্সড প্রাইস পদ্ধতিতে ১৫ কোটি টাকা মূলধন উত্তোলন করবে কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠানটি। অভিহিত ১০ টাকায় বাজারে দেড় কোটি শেয়ার ছাড়বে তারা।
আইপিওর মাধ্যমে উত্তোলিত অর্থ কোম্পানিটি রিসোর্টের বিভিন্ন কক্ষের ইনটেরিয়র ফিনিশিং, আসবাবপত্র ক্রয়, জমি ক্রয় ও আইপিওর খরচ বাবদ ব্যয় করবে। ৩ জুন সমাপ্ত ২০১৮ হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) ১০ টাকা ৪৮ পয়সা। গত তিন বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ভারিত গড় হারে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৪১ পয়সা।
সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।


আরো সংবাদ



premium cement