গ্রেফতার-ক্রসফায়ারেও থামছে না ইয়াবা চক্র
- হুমায়ুন কবির জুশান উখিয়া (কক্সবাজার )
- ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০
দেশজুড়ে মাদকের ভয়ঙ্কর নেটওয়ার্ক গড়ে উঠেছে। মাদক চোরাচালান বহনে কৌশলের যেন শেষ নেই। নিত্যনতুন কৌশলে মাদকচক্র ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। কোনো কিছুতেই থামছে না মাদকের কারবার। নিয়মিত গ্রেফতার অভিযান ও ক্রসফায়ারে তিন শতাধিকের বেশি নিহতের ঘটনা ঘটলেও থামছে না মাদক কারবারিরা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের মধ্যেই বিভিন্ন কৌশলে মাদকের চালান ঢুকছে দেশে।
চলতি বছরের ১৬ ফেব্রুয়ারি আত্মসমর্পণ করেছে টেকনাফের ১০২ ইয়াবা কারবারি। এর মধ্যে ৩৫ জন গডফাদার রয়েছে। এ সময় তারা সাড়ে তিন লাখ ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় পিস্তল জমা দেয়। এর পরও থেমে নেই ইয়াবা কারবার।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস যোগদানের পর থেকে অনেক শীর্ষ মাদক কারবারি গ্রেফতার ও বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পর গত বছরের ৪ মে থেকে মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত মা ক্রসফায়ারে তিন শতাধিক মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। এর পরও ইয়াবা আসা বন্ধ হয়নি। বরং সীমান্ত দিয়ে আরও ছোট-বড় চালান ঢুকছে দেশে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মাদকের অনেক গডফাদার এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে। এরই মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অভিযানও কিছুটা ঝিমিয়ে পড়েছে। পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাও সেভাবে কার্রযকর নয়। এসব কারণেই মাদক কারবারিদের পাচার খুব বেশি কমছে না। এ ছাড়া আগে ধরে নেয়া হতো সবচেয়ে বেশি প্রচলিত ইয়াবা ট্যাবলেট শুধু মিয়ানমার থেকেই আসে কিন্তু ইদানীংকালে দেখা যাচ্ছে ভারত থেকেও ফেনসিডিল ও গাঁজার পাশাপাশি ইয়াবা ট্যাবলেটের চোরাচালান বাংলাদেশে আসছে। সাদা পলিথিনের মধ্যে ইয়াবা ঢুকিয়ে কাঁটাতারের বেড়া পার করতে ভারত ও মিয়ানমার সীমানা থেকে ছুড়ে মারলে তা বাংলাদেশ সীমানায় এসে পড়ে। এভাবে দুই পাশে কাঁটা তারের বেড়ার দু’পাশে তিন দেশের মাদক কারবারিরা অবস্থান নিয়ে মাদক চোরাচালান পারাপার করছে।
পরিকল্পিত উখিয়া চাই-এর আহ্বায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার বলেন, ইয়াবা পুরো দেশের যুব সমাজকে ধবংস করে দিয়েছে। এতে চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে দেশের নতুন প্রজন্ম।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা