০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫
`


বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে

-

বঙ্গোপসাগরে দেশীয় জেলেরা মাছ ধরতে না পারলেও ভারতীয় জেলেরা ট্রলিং ট্রলার নিয়ে সাগরের বয়া এলাকা থেকে পূর্বে কুয়াকাটা উপকূল পর্যন্ত দাপিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। গত ৭ জুলাই বঙ্গোপসাগরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৩২ ফিসিং বোটসহ ৫ শতাধিক ভারতীয় জেলে আটক হয়।
শরণখোলা ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন বলেন, আমাদের ছোট ছোট ইঞ্জিনচালিত নৌকা ট্রলারের জেলেরা সুন্দরবনের দুবলারচর এলাকায় মাছ ধরার সময় গত কয়েক দিনে সাগরের বয়া এলাকায় অসংখ্য ভারতীয় ফিসিং ট্রলারের জেলেদের মাছ ধরতে দেখেছেন। আবহাওয়া খারাপ হলে ভারতীয় জেলেরা হিরণপয়েন্টের অদূরে ছোট খালে আশ্রয় নিয়ে থাকে বলে আবুল হোসেন জানান। বাংলাদেশ ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি মোস্তফা চৌধুরী জানান, সাগরে বাংলাদেশ জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ শিকার করা ভারতীয় জেলেদের নিত্যদিনের ঘটনা। ৬৫ দিনের অবরোধে আমাদের দেশীয় জেলেরা মাছ ধরতে না পারলেও ভারতীয়রা ঠিকই ধরে নিয়ে যাচ্ছে। যার জলজ্যান্ত প্রমাণ গত ৭ জুলাই পায়রা সমুদ্রবন্দরের অদূরে সাগরে মাছ ধরার সময় কোস্টগার্ড ৩২ ফিসিং বোটসহ ৫ শতাধিক ভারতীয় জেলে আটকের ঘটনা। ঝড়ের কবলে পড়ে তারা এসেছে ভারতীয় জেলেদের এ দাবি তিনি নাকচ করে বলেন, তাই যদি হয় তা হলে তাদের নিদেন পক্ষে হিরণপয়েন্ট দুবলারচর আলোরকোল পর্যন্ত আসার কথা।
ফিসিংবোট এফবি খাইরুল ইসলামের মিস্ত্রি শরণখোলা উপজেলার পূর্ব খোন্তাকাটা গ্রামের মো: রফিক জানান, বরাবরের মতো ভারতীয় ট্রলিং ট্রলার বঙ্গোপসাগরের বয়া এলাকা থেকে পূর্বে কুয়াকাটা উপকূল, সোনারচর, ঢালচর পর্যন্ত সাগরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এবং তারা অবাধে ইলিশসহ বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তিনি গত ২২ জুন সাগরের সোনারচর এলাকায় শতাধিক ভারতীয় ফিসিং বোটকে মাছ ধরতে দেখেছেন। ওই সময় তিনি তার বোটের মবিল ফুরিয়ে যাওয়ায় ভারতীয় একটি বোট থেকে কয়েক লিটার মবিল চেয়ে নেন বলে রফিক মিস্ত্রি জানান। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত সাগরে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করায় শরণখোলাসহ উপকূলীয় এলাকার জেলে পল্লীগুলোতে হতাশার পাশাপাশি ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
অপরদিকে শরণখোলা, পাথরঘাটাসহ অন্যান্য এলাকার অনেক ফিসিংবোট বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মাছ শিকার করে শরণখোলা ও পাথরঘাটা মৎস্যঘাটে ফিরে এসে রাতের মধ্যেই মাছ ট্রাক বোঝাই করে খুলনা ও বরিশালের মোকামে চালান করছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে চলেছেন। বিশেষ করে শরণখোলার মজিবর তালুকদার, বেলায়েত খান, ও আবুল হোসেনের ফিসিং বোট নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও চোরাইভাবে সাগরে মাছ ধরছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে গত ৬ জুলাই রাঙ্গাবালীর কাছে সাগরে ৫-৬টি ফিসিং বোট ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে গেছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার খবর তার জানা নেই খোঁজ নিয়ে দেখবেন।


আরো সংবাদ



premium cement
উপজেলা নির্বাচনে দেড় লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন অপরাধীরা পুলিশ, সাংবাদিক লেখা স্টিকার বেশি ব্যবহার করে ভারতের কাছে টানা চতুর্থ হার বাংলাদেশের মৎস্য খাতের উন্নয়নে পৃথক দুটি অর্থনৈতিক অঞ্চল চান ব্যবসায়ীরা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজ এগিয়ে থাকলেও জাতীয় দলের ব্যাটিং নিয়ে অসন্তুষ্ট বিসিবি সভাপতি জার্মানির স্কুলে সহিংসতা বাড়ছে কেনিয়ায় বন্যা : মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২২৮ ইসলামপুর পৌর মেয়রকে বরখাস্তের আদেশ হাইকোর্টে স্থগিত দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা কত চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর ছোবল, ৩ ঘণ্টার বৃষ্টিতে নিমজ্জিত বিস্তীর্ণ এলাকা শরীয়তপুরে বজ্রপাতে ২ নারীসহ ৩ জনের মৃত্যু

সকল