২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
`

মধুখালীতে ৪০ দিনে ৩৪টি গরু চুরি

-

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় গরু চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ৪০ দিনে ৩৪টি গরু চুরি হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে ২৭টি বাসাবাড়িতে চুরি হয়েছে। বিশেষ করে কোরবানি ঈদের আগে গরু চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়ায় গ্রামের সাধারণ গৃহস্থ ও খামারিরা উদ্বিগ্ন।
জানা গেছে, গত ৯ জুলাই রাতে পৌরসভাধীন গোপালপুরে একটি বাড়ি থেকে গরু চুরি হয় এবং ওই রাতেই কামারখালী বাজারের এক চাল ব্যবসায়ীর ঘর থেকে ১১১ বস্তা চাল ও আরো দু’টি দোকানের ৩৫ হাজার টাকা ও অন্যান্য মালামাল চুরি হয়।
এর আগে ৮ জুলাই সোমবার রাতে নওপাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে গরু চুরির পরের রাতে কামারখালী বাজারের তিনটি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটে। ৬ জুলাই আড়পাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম আড়পাড়া এবং শান্তিপুর গ্রামের দু’টি বাড়ি থেকে চারটি বড় গরু চুরি হয়। গরুগুলোর মূল্য প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা। গত মাসের শেষ সপ্তাহে জাহাপুরে তিনটি বাড়ি থেকে সাতটি গরু চুরি হয়। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় সাড়ে ছয় লাখ টাকা। এ ছাড়া একই সময়ে আরো দু’টি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে।
মেগচামী ইউনিয়নে এ সময়ে দু’টি বাড়ি থেকে গৃহস্থের চারটি গরু চুরি হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা। বাগাট ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে এ সময়ে প্রায় ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের একটা গাভী চুরি ছাড়াও বাগাট বাজারের একটি দোকানে তালা ভেঙে প্রায় চার লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়। আর নওপাড়া ইউনিয়নের দড়িবাজার আড়কান্দিতে প্রায় ৬০ হাজার টাকা দামের একটি গরু চুরি হয়। সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
মধুখালী পৌরসভার প্যানেল মেয়র মির্জা আব্বাস হোসেন চুরির ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গত কয়েকদিনে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচটি বাড়ি থেকে ১১টি গরু এবং ৮ জুলাই রাতে গোপালপুর গ্রাম থেকে একটি গরু চুরি হয়েছে বলে জেনেছি। চুরি হওয়া এসব গরুর বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে সাত লাখ টাকার মতো।
পৌর মেয়র জানান, এ ছাড়া মধুখালী থানার পূর্বপাশে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে জনৈক আজিজ মিয়ার বাড়ি হয়। সাবেক এক এসআই এর ছেলের একটি মোটরসাইকেল তালা ভেঙে নিয়ে যায় চোরেরা। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গোন্দারদিয়া সাতাইনির মাঠে জাহাঙ্গীরের বাড়ি ও পশ্চিম গাড়াখোলা মহল্লার বনানী রোডে একটি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি হয়। নগদ টাকাসহ প্রায় প্রায় তিন লাখেরও বেশি টাকার মালামাল নিয়ে যায় চোর।
এসব চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষ উদ্বিগ্ন হয়ে অনেকে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে উল্লেখ করে পৌরমেয়র বলেন, স্থানীয় থানা পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের তৎপরতা বৃদ্ধি ছাড়াও এলাকাভিত্তিক পাহারা বসানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানা ওসি মো: মিজানুর রহমান বলেন, গরু চুরির বিষয়ে কিছু মামলা ও সাধারণ ডায়েরি হয়েছে থানায়। কোড়কদী ইউনিয়ন থেকে চারজন গরু চোরকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে চুরি হওয়া তিনটি গরু। তবে অনেক ঘটনার পরে থানায় অভিযোগ করা হয় না। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 


আরো সংবাদ



premium cement