কলাপাড়া লঞ্চঘাট এখন মারণ ফাঁদ
- এইচ এম হুমায়ুন কবির কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
- ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ০০:০০, আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৮, ১২:৪১
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার একমাত্র লঞ্চঘাটে পন্টুন আছে, নেই বেইলি ব্রিজ। ভেঙে পড়ে আছে পৌর শহরের লঞ্চঘাটের বেইলি ব্রিজটি। দীর্ঘ দিন ধরে এমন অবস্থায় পড়ে থাকায় যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ। বেইলি ব্রিজটির অনেক জায়গায় নেই কাঠের স্লিপার। যা আছে তাও বেশির ভাগ ভাঙাচোরা। পাশেই পড়ে থাকা পুরনো পন্টুনের ওপর কাঠের একটি তক্তা দিয়ে যাত্রীরা প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন এবং শ্রমিকরা ঝুঁকি নিয়ে পণ্য পরিবহন করছেন।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কলাপাড়ার লঞ্চঘাটটি মারণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই ঘাটটিতে লঞ্চ ভিড়ে। যাত্রীরাও এ ঘাট থেকে লঞ্চে ওঠা-নামা করেন। ঘাটের বেইলি ব্রিজটি এখন বেহাল দশায় পড়ে আছে। এ ছাড়া ঘাটটির আশপাশে ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। জোয়ারের সময় এসব আবর্জনা পানিতে ভাসছে। আর ভাটার সময় আটকে থাকছে। ময়লার দুর্গন্ধে আশপাশের পরিবেশ হয়ে উঠেছে বিষাক্ত।
লঞ্চঘাটের পণ্য পরিবহন শ্রমিক সোবাহান জানান, দীর্ঘ দিন পন্টুনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে থাকার পর নতুন পন্টুন স্থাপিত হয়েছে। কিন্তু বেইলি ব্রিজটির সংস্কার করা হয়নি। এতে করে প্রতিদিন যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। এ ছাড়া ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চ থেকে পণ্য খালাস করতে হয়। মাত্র ক’দিন আগে জাকির নামের এক শ্রমিক আহত হয়ে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এসেছেন। শ্রমিকরা ভারী মালামাল মাথায় করে বহন করেন। ফলে সব সময় আতঙ্কে থাকতে হয়। কখন না জানি দুর্ঘটনা ঘটে।
কলাপাড়া এক্সপ্রেস কার্গো সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী সাইদুর রহমান জানান, তাদের কার্গো সার্ভিসের মাধ্যমে দক্ষিণাঞ্চলের বাণিজ্যিককেন্দ্র কলাপাড়ার সর্বাধিক মালামাল পরিবহন হয়ে থাকে। কার্গো যখন ঘাটে আসে তখন দিনরাত কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। দিনে সতর্ক হয়ে শ্রমিকরা কাজ করলেও রাতে চরম ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়।
ঘাটের ইজারাদার শামীম জানান, লঞ্চ, কার্গো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের নৌযান লঞ্চঘাটে নোঙর করে। সবাই ঝুঁকি নিয়ে ওঠানামা করছেন। বেইলি ব্রিজটি সংস্কারের জন্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
পটুয়াখালী অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে খুব দ্রুত বেইলি ব্রিজের সংস্কারকাজ সম্পন্ন হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা